চাকরির ইন্টারভিউ মানেই উত্তেজনা আর চাপ। অনেক সময় যোগ্যতা ও মেধা থাকা সত্ত্বেও ভয় আমাদের সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। গলা কাঁপা, হাত-পা শক্ত হয়ে যাওয়া কিংবা উত্তর জানা থাকা সত্ত্বেও বলতে না পারা—এসবই ভয় নামের অদৃশ্য শিকলের ফল। তাই স্বপ্নের চাকরি হাতের মুঠোয় পেতে হলে সবচেয়ে আগে জয় করতে হবে ভয়কে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ কৌশল মেনে চললেই ইন্টারভিউভীতি দূর করা সম্ভব।
ইতিবাচক চিন্তা করুন
পরাজয়ের চিন্তা নয়, ভাবুন—“আমি পারব, আমার দ্বারাই সম্ভব।” ব্যর্থ হলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে কিনা, তা ভেবে ভীত হওয়ার কিছু নেই। মনে রাখুন, না পারলে শেখা যাবে, আবার চেষ্টা করলে জয় আসবেই। ইতিবাচক মনোভাব আপনাকে ভেতর থেকে শক্তি জোগাবে এবং ভয়কে দূরে সরিয়ে দেবে।
কয়েকবার দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিন
ভয় আমাদের শরীর-মনকে অস্থির করে তোলে। এ সময় চোখ বন্ধ করে কয়েকবার গভীরভাবে শ্বাস নিন। এতে শরীর শিথিল হবে, মন শান্ত হবে, আর ভেতরের অযথা ভয় অনেকটাই কেটে যাবে।
ভালভাবে প্রস্তুতি নিন
ভালো প্রস্তুতি ভয় কমানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়। সাক্ষাৎকারে নিজের পরিচয় কীভাবে দেবেন, দুর্বলতার প্রশ্নের উত্তর কীভাবে সামলাবেন—এসব অনুশীলন করুন। সম্ভাব্য প্রশ্নের একটি তালিকা তৈরি করে আয়নার সামনে কিংবা বন্ধুর সঙ্গে রিহার্সাল করলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং সাক্ষাৎকারের দিন সাবলীলভাবে কথা বলতে পারবেন।
ভয়কে লিখে ফেলুন
যদি ভেতরের ভয় দূর করা কঠিন হয়, তবে কাগজে লিখে ফেলুন—কিসের ভয় পাচ্ছেন, কী হতে পারে। এরপর তা পড়ে বুঝতে পারবেন ভয়টা আসলে অযৌক্তিক। শেষে কাগজ ছিঁড়ে ফেলুন বা দূরে ফেলে দিন। এতে মন থেকে সেই ভয়ও চলে যাবে।
শেষ প্রস্তুতি
সাক্ষাৎকার শুরুর অন্তত ১৫ মিনিট আগে পৌঁছান।
সময়মতো পৌঁছাতে যথেষ্ট সময় হাতে রেখে রওনা দিন।
সাক্ষাৎকার কক্ষে প্রবেশের আগে প্রয়োজন হলে পানি পান করুন।
শান্ত হয়ে বসুন এবং মনে মনে একটি সফল সাক্ষাৎকারের কল্পনা করুন।
উপসংহার
ভয় আমাদের চিরশত্রু। এই ভয়কে জয় করতে না পারলে কখনো সফল হওয়া সম্ভব নয়। ইতিবাচক বিশ্বাস, সঠিক প্রস্তুতি আর আত্মবিশ্বাসই পারে ভয়কে হারিয়ে আপনাকে জয়ের পথে এগিয়ে নিতে। মনে রাখুন—“আপনি পারবেন”—এই বিশ্বাসই আপনার সাফল্যের প্রথম ধাপ।

