বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার শহর প্রেসক্লাবের হলঘরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আলো যেন একটা উজ্জ্বল উৎসবে রূপান্তরিত হয়ে গেল—দৈনিক কালবেলা পত্রিকার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা সভা আর কেক কাটার অনুষ্ঠানে ভরে উঠলো হাসির ঢেউ আর আশার প্রতিধ্বনি। সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হয়ে যেন একটা হৃদয়ের মিলনমেলায় পরিণত হয়ে গেল সভাটি, যেখানে কেকের মিষ্টি স্বাদে মিশে গেল সত্যের সংবাদের নির্ভীক স্বাদ—এ যেন একটা নতুন জন্মের উদযাপন, যা গণমানুষের কণ্ঠস্বরকে আরও জোরালো করে তুলবে, যেন একটা অটুট বন্ধন গড়ে উঠলো সাংবাদিকদের হাতে ধরা লেখনীর সঙ্গে জনগণের স্বপ্নের। এই মুহূর্ত যেন একটা উষ্ণ আলিঙ্গন, যা কালবেলাকে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের মর্যাদায় আরও উন্নীত করে তুলবে, আর বগুড়ার এই ছোট্ট শহরকে ছড়িয়ে দেবে সংবাদের আলোর ঢেউ সারা দেশে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করলেন কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধি এরশাদ আলী, যাঁর দৃঢ় কণ্ঠ যেন একটা অটল ভিত্তির মতো সবাইকে একত্রিত করলো, আর সঞ্চালনায় ছিলেন কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম জেন্টু—তাঁর উদ্দীপক কথায় যেন সভাটি একটা জীবন্ত গানের সুরে বাজতে লাগলো। প্রধান অতিথি সান্তাহার শহর প্রেসক্লাবের সভাপতি জিল্লুর রহমানের বক্তব্য যেন একটা হৃদয়স্পর্শী আহ্বানের মতো ভেসে উঠলো: “গণমানুষের প্রত্যাশা লেখনী এবং ভিডিও প্রতিবেদনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলে এরইমধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে রূপ নিয়েছে কালবেলা। ভবিষ্যতেও কালবেলা যেন সবসময় দেশের মানুষের কথা বলে এই প্রত্যাশাই রাখছি। সত্য নির্ভীক সংবাদের সব দিক তুলে ধরে এগিয়ে যাক কালবেলা।” তাঁর চোখে জ্বলছিল আশার আলো, যা কেক কাটার মুহূর্তে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠলো—যেন এই তৃতীয় জন্মদিন কেবল একটা উৎসব নয়, একটা অঙ্গীকারের সূচনা, যা সংবাদের অন্ধকারকে ছিন্নভিন্ন করে আলোর পথ দেখাবে।
সভায় বক্তব্য রাখলেন সান্তাহার শহর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সোহাগ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হোসেন, সদস্য সামিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ—তাঁদের কণ্ঠে ছিল আবেগের ঝড়, যা কালবেলার সংবাদের নির্ভীকতাকে স্মরণ করিয়ে দিলো, আর ভবিষ্যতের স্বপ্নকে ছুঁয়ে গেল জনগণের অধিকারের গল্পে। এই অনুষ্ঠান যেন একটা মধুর স্মৃতির মালা, যা আদমদীঘির সাংবাদিকদের মধ্যে জাগিয়ে তুললো নতুন উদ্যমের আগুন, আর কালবেলাকে গড়বে একটা অটুট দুর্গে সত্যের রক্ষণাবেক্ষণে। আশা করি, এই তৃতীয় বছরের উদযাপন থেকে ছড়িয়ে পড়ুক সংবাদের এই আলোর ঢেউ, যাতে প্রতিটি গ্রামের গল্প পৌঁছে যায় শহরের আকাশ ছুঁয়ে—কারণ, কালবেলা শুধু একটা পত্রিকা নয়, এটা গণমানুষের হৃদয়ের কণ্ঠস্বর, যা চিরকাল জ্বলবে নির্ভয়ে!
