নেত্রকোণার আকাশে যেন একটা অদম্য পাখির ডানা মেলেছে আজ—শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে সরকারি মহিলা কলেজের হলরুমে উদ্বোধিত হয়েছে ৩ দিনব্যাপী স্কাউটের ৬৮তম জাম্বুরী অন দ্য এয়ার ও ২৯তম জাম্বুরী অন দ্য ইন্টারনেট-২০২৫, যেন বিশ্বের সীমান্ত ভুলে যাওয়া একটা বিশাল উৎসবের মতো! এই ঘটনা শুধু একটা অনুষ্ঠান নয়, বরং লক্ষ লক্ষ তরুণ স্কাউটের হৃদয়ে জ্বলে উঠেছে আশার প্রদীপ—যেখানে রেডিওর তরঙ্গ আর ইন্টারনেটের জালে সংযোগ স্থাপন হয়ে যায় একটা অদৃশ্য বন্ধনের, যেন দূরের তারার সাথে কথা বলার মতো মায়াময় অনুভূতি! কল্পনা করুন, একটা ছোট্ট স্কাউটের চোখে সেই উজ্জ্বলতা, যখন বিশ্বের অন্য প্রান্তের সাথীদের কণ্ঠ শোনে, আর হৃদয় ভরে ওঠে অজানা বন্ধুর স্নেহে—এই জাম্বুরীতে লক্ষাধিক যুবক এভাবেই মিলবে বিশ্ব স্কাউটিংয়ের এই বিশাল সমাবেশে, যা শুধু যোগাযোগ নয়, বরং মানবতার একটা জ্বলন্ত সেতু!
যোদ্ধার আহ্বানে স্কাউটদের হৃদয়স্পন্দন!
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের কণ্ঠ যেন একটা দৃঢ় পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে উঠেছে—তিনি স্কাউট সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ক্রান্তিকালীন সময়ের নির্ভরযোগ্য যোদ্ধা হিসেবে তোমরা সবসময় দায়িত্ব পালন করে যাবে, যেন একটা অটুট দড়ির মতো বাঁধবে সমাজের হৃদয়কে! সামাজিক ও দুর্যোগকালীন মুহূর্তে তোমাদের ভূমিকা যেন বজ্রের আঘাতে অন্ধকার ছিন্ন করে, আর পড়াশোনায় এগিয়ে থাকার জন্য তাঁর ধন্যবাদ যেন একটা উষ্ণ আলিঙ্গন—এই কথাগুলো শুনে স্কাউটদের চোখে জ্বলে উঠেছে গর্বের অশ্রু, কারণ এটা শুধু একটা উপদেশ নয়, বরং তাদের জীবনের পথিকৃৎ স্মৃতির মতো অনুপ্রেরণা! নেত্রকোণা সরকারি মহিলা কলেজে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ স্কাউট নেত্রকোণা জেলার কর্মকর্তাগণ যেন একটা অদৃশ্য দলের মতো দাঁড়িয়ে আছেন, তাদের উপস্থিতি যেন এই উৎসবকে আরও মহিমান্বিত করেছে।
তরঙ্গের ঢেউয়ে বিশ্বের মিলন!
এই ৩ দিনের জাম্বুরী (১৭-১৯ অক্টোবর) যেন একটা বিশাল সমুদ্রের ঢেউ, যা রেডিওর তরঙ্গে এবং ইন্টারনেটের জালে ছড়িয়ে পড়বে ১৭৩টিরও বেশি দেশে—স্কাউটরা যেন আকাশের তারাদের মতো মিলবে, শেয়ার করবে অভিজ্ঞতা, আদান-প্রদান করবে ধারণা, আর তৈরি হবে একটা বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃত্বের! নেত্রকোণার এই ছোট্ট শহর থেকে শুরু হয়ে যেন একটা বিশাল আলোর বন্যা উথলে উঠবে, যা তরুণ মনকে জাগিয়ে তুলবে দায়িত্বের জন্য, সাহসের জন্য—এটা শুধু একটা অনুষ্ঠান নয়, বরং স্কাউটদের হৃদয়ে চিরকালের একটা স্মৃতির ফুল ফুটিয়ে তুলবে, যেন বিশ্বের সীমান্ত মুছে যায় এবং শুধু থাকে মানুষের স্নেহের সেতু। চলুক এই যাত্রা, চলুক তরুণ স্বপ্নের উড়ান!

