সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (এটিইও) (১০ম গ্রেড) নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন এক হাজার ৬১৪ জন প্রার্থী। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন-ক্যাডার) দিলাওয়েজ দুরদানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি জানায়, লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের বাংলা (৫০ নম্বর), ইংরেজি (৫০ নম্বর), সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, ৪০ নম্বর) এবং গণিত ও মানসিক দক্ষতা (৬০ নম্বর) বিষয়ে মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে।
পিএসসি আরও উল্লেখ করেছে, কোনো প্রার্থীর ক্ষেত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত শর্তে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি পাওয়া গেলে লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষার পূর্বে বা পরে যে কোনো পর্যায়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।
উত্তীর্ণ প্রার্থীরা তাদের মূল আবেদনপত্র (BPSC Form 5A – Applicant's Copy) কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে ১২ অক্টোবর ২০২৫ থেকে ২৩ অক্টোবর ২০২৫-এর মধ্যে অফিস চলাকালীন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় জমা দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে:
বিভাগীয় প্রার্থীদের (সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক) জন্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সিল-সহ ছাড়পত্র জমা দেওয়া আবশ্যক।
বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত সকল সনদ (স্নাতকোত্তর/স্নাতক/বিএসসি/এইচএসসি/এসএসসি বা সমমানের) এর সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। মূল সনদ প্রদানে অক্ষম হলে সাময়িক সনদ গ্রহণযোগ্য।
চার বছর মেয়াদী স্নাতক/সম্মান ডিগ্রি থাকলে সনদে মেয়াদের উল্লেখ থাকুক। না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় বা পরীক্ষার নিয়ন্ত্রকের সত্যায়িত প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।
জন্মতারিখ প্রমাণের জন্য এসএসসি/সমমানের মূল বা সত্যায়িত কপি; “ও” লেভেল ও “এ” লেভেল ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দালিলিক জন্মপ্রমাণ আবশ্যক। এফিডেভিড গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা সিটি করপোরেশন/পৌরসভার মেয়রের সত্যায়িত প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।
৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে পুনঃপ্রাপ্তির প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
পিএসসি জানিয়েছে, সব নথি ও কাগজপত্র সময়মতো জমা দেওয়াই নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ এবং তা অনিবার্য।

