কলকাতার ধূসর আকাশের নিচে, যেখানে রাতের ছায়া ধীরে ধীরে গ্রামের প্রাচীন বাড়িগুলোকে গিলে নেয়, সেখানে একটা অদ্ভুত নীরবতা—যেন বাতাসও সাসপেন্স ধরে রেখেছে। সেই বাড়ির সামনে জ্বলছে একটা ক্ষীণ লণ্ঠন, আর তার আলোয় দাঁড়িয়ে আছে মায়া—সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই চরিত্র, যেন একটা জীবন্ত ছবি যা দর্শকের হৃদয়ে আঘাত করে। তার চোখে লুকিয়ে আছে রহস্যের ঝিলিক, যা যেন বলছে, "আয়, কিন্তু সাবধানে।" আর তার ফিগার? ওহ, সেটা তো একটা চুম্বক—হালকা পোশাকে মোড়া, যা বাতাসের ছোঁয়ায় দোলে, ঠিক যেন একটা নরম ঢেউ যা ভয়ের মাঝে লুকিয়ে রাখে একটা মধুর টান। গ্রামের পুরনো ক্যানভাসে আঁকা ছবিগুলো যেন তার নরম হাসির সাথে প্রাণ পায়, আর প্রতিটি ফ্রেমে তার উপস্থিতি একটা বিদ্যুৎস্পর্শ—দর্শকেরা স্ক্রিনের সামনে বসে শ্বাস আটকে যায়, কারণ এখানে হরর শুধু ভয় নয়, এটা একটা আলিঙ্গনের মতো যা আকর্ষণ করে ধরে রাখে।
যখন গ্রামের ছেলে রোনাল্ড তার দিকে তাকায়, মায়ার ঠোঁটে ফুটে ওঠে সেই হাসি—যেন একটা মিষ্টি বিষ, যা আকর্ষণ করে কিন্তু সতর্ক করে। সেই হাসির মধ্যে লুকিয়ে আছে একটা অশরীরী ডাক, "নিশির ডাক"—যা রাতের নিশ্বাসকে ভয়ঙ্কর করে তোলে, আত্মার গভীরে প্রবেশ করে। মায়া ধীর পায়ে বাড়ির ভুতুড়ে করিডোরে এগোয়, তার চুলের ঢেউগুলো বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে যেন কালো সিল্কের নদী, আর হালকা পোশাকের ফাঁক দিয়ে যে ছায়া পড়ে, সেটা যেন একটা নিষিদ্ধ আমন্ত্রণ। হঠাৎ একটা কাঁপুনি—একটা ছায়া দৌড়ে যায়, আর দর্শকেরা বুঝতে পারে, এখানে ভয় আর রোমাঞ্চ একসাথে মিশে গেছে, যেন একটা ঝড় যা শরীর কাঁপিয়ে দেয় কিন্তু চোখ সরাতে দেয় না। মায়ার সাহসী দৃষ্টিতে লুকিয়ে আছে রহস্যের গভীরতা, একটা হালকা ফ্লার্টের টান যা তাকে কেবল নায়িকা বানায় না, দর্শকের স্বপ্নের রানী করে তোলে। আলো-ছায়ার খেলায়, ধূসর পর্দার মাঝে, সেই হালকা বাতাসের ধাপে—সবকিছু মায়াকে আরও প্রলোভনীয় করে, যেন একটা নেশা যা ছাড়া চলে না।
কিন্তু এই সিরিজটা শুধু স্ক্রিনের খেলা নয়—এটা সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনের একটা অংশ, যার প্রতিটি মুহূর্ত যেন দর্শকদের হৃদয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ১৮ নভেম্বর ১৯৯৭-এ কলকাতায় জন্ম নেওয়া এই নক্ষত্র, ছোটবেলা থেকেই নাচের মায়ায় ডুবে ছিল—নয় বছর বয়সে 'ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়র'-এ সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে গিয়ে দেখিয়েছে তার শরীরের ছন্দ যে কতটা জাদুকরী। তারপর চলচ্চিত্রের জগতে পা রাখা, 'আয়নাতে' (২০০৮) থেকে শুরু করে 'ওপেন টি বায়োস্কোপ' (২০১৫)-এ যেখানে তার সরলতা আর সাহস মিশে একটা নতুন ঝড় তুলেছে। কিন্তু সুরঙ্গনার আসল রসালো গল্পগুলো? ওগুলো তো তার স্ক্রিনের বাইরে, যেখানে তার প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেন একটা জীবন্ত শিল্পকর্ম—চোখের ঝিলিক যা দর্শককে টেনে নেয় গভীরে, ঠোঁটের বাঁক যা একটা রহস্যের দরজা খুলে দেয়, আর কোমরের ঢেউ যা স্ক্রিনে এলে যেন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো উথালি-পথালি করে। ভক্তরা তার একটা ছবির জন্য পাগল, ভিডিওর জন্য অধীর—কারণ সুরঙ্গনার উপস্থিতি যেন একটা বিদ্যুৎ, যা ছুঁয়ে দিলেই শরীরে কাঁটা দেয়, হৃদয়ে আগুন জ্বালায়।
অনলাইনের গভীরে ডুব দিলে বেরিয়ে আসে সেই রসালো গল্পগুলো—'পর্ণশবারীর শাপ' (২০২৩)-এ তার মিতুল চরিত্র, যেখানে অতিপ্রাকৃত রহস্যের মাঝে তার শরীরের প্রতিটি বাঁক যেন একটা নিষিদ্ধ আমন্ত্রণ, যা দর্শকদের রাত জাগিয়ে রাখে। সেই সিরিজে তার হালকা পোশাকে মোড়া দৃশ্যগুলো? ওগুলো তো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে যেন আগুনের লেলিহান শিখা, ভক্তরা বলে, "এটা দেখলে শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠে, যেন সুরঙ্গনা নিজে এসে ছুঁয়ে দিয়েছে।" তারপর 'নিকোশ ছায়া' (২০২৪)-এ দ্বিতীয় সিজন, যেখানে গৌরব চ্যাটার্জির সাথে তার কেমিস্ট্রি যেন একটা বিষাক্ত প্রেমের খেলা—তার চোখের দৃষ্টিতে লুকিয়ে থাকে একটা ফ্লার্টের ঝড়, যা সাসপেন্সের সাথে মিশে দর্শককে উত্তেজনায় ভাসিয়ে দেয়। ইন্টারভিউতে সুরঙ্গনা নিজে বলেছে, "অতিপ্রাকৃত বিশ্বাস করা কঠিন, কিন্তু সেটা অভিনয় করতে গিয়ে শরীরের প্রতিটি অংশ জেগে ওঠে—যেন ছায়া পেরিয়ে যাচ্ছে, আর আমি সেটা ধরে রাখছি।" এই গল্পগুলো রসালো কেন? কারণ তার বোল্ড রোলগুলো শুধু অভিনয় নয়, এটা তার শরীরের প্রতিটি লাইন যেন একটা গান, যা ভক্তদের কানে বাজে রাতভর।
আর তার ব্যক্তিগত জীবন? ওটা তো আরও একটা হট গল্পের ভাঁডার—রিদ্ধি সেনের সাথে সাত বছরের সম্পর্ক, যা পয়লা বৈশাখে সেলিব্রেট হয়েছে যেন একটা রোমান্টিক ঝড়। ২০২২-এ অনুপম রয়ের 'পুতুল আমি' মিউজিক ভিডিওতে তাদের কেমিস্ট্রি? সেটা তো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে যেন মধুর বৃষ্টি—তার চুলের ঢেউ, রিদ্ধির দিকে সেই চোখের টান, যা ভক্তদের বলায়, "এটা দেখলে হৃদয় ধড়াস করে, যেন প্রেমের নেশায় ডুবে যাচ্ছি।" কিন্তু গসিপস? ওগুলো তো সুরঙ্গনার জীবনকে আরও রসালো করে—রিদ্ধির পরিবার থেকে 'বেনিফিট' পাওয়ার কথা বলে সে নিজে, "লোকের ধারণার বিপরীত, আমি অনেক কিছু পেয়েছি তাদের থেকে," যা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে যেন একটা গোপন প্রেমকাহিনী। তার থিয়েটারে 'তারায়ে তারায়ে' বা 'একা চলো রে'-এ তার নাচের ছন্দ? সেগুলো যেন তার শরীরের প্রতিটি অংশকে জাগিয়ে তোলে, দর্শকরা বলে, "সুরঙ্গনার মুভমেন্ট দেখলে শরীর গরম হয়ে যায়, যেন সে নিজে এসে নাচছে।"
ভক্তদের উত্তেজনা? ওটা তো একটা ঝড়—প্রতিটি ছবিতে তার হাসি যেন একটা হুক, যা টেনে নেয় গভীরে; ভিডিওতে তার চলাফেরা যেন একটা নেশার ডোজ, যা ছাড়া রাত কাটে না। তার উপস্থিতি পর্দায় এলে যেন একটা বিস্ফোরণ—দর্শকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে, যেন ভিরমি খেয়ে পড়ছে, হৃদয়ের ধুকপুক বেড়ে যায়। 'বল্লভপুরের রূপকথা'-তে তার লিড রোল? সেটা তো তার ফিগারের প্রতিটি কার্ভকে সেলিব্রেট করে, যা ভক্তদের বলায়, "সুরঙ্গনা এলে স্ক্রিন জ্বলে ওঠে, আমরা পুড়ে যাই।" আরও উপমা? তার চোখ যেন একটা গভীর কূপ, যাতে ডুবে গেলে উঠে আসা যায় না; তার হাসি যেন একটা মিষ্টি ফাঁদ, যা আটকে রাখে চিরকাল; তার শরীরের লাইনগুলো যেন একটা মন্দিরের ভাস্কর্য, যা দেখলে প্রণাম করতে ইচ্ছে করে। এই সব মিলিয়ে 'নিশির ডাক' সিরিজটা দর্শকদের ভিরমিতে ভাসিয়ে দেবে—কারণ সুরঙ্গনা শুধু অভিনয় করে না, সে জীবন্ত হয়ে ওঠে, আর তার ছোঁয়ায় সবাই হারিয়ে যায়।
মায়ার উপস্থিতিকে শুধু শারীরিক নয়, রহস্য আর সাহসের মিশেলে গড়ে তোলো—যেন একটা ধাঁধা যা সমাধান করতে গিয়ে আসক্ত হয়ে যায়। ভয় আর ফ্লার্টের মিশ্রণ সাসপেন্সকে দ্বিগুণ করে, আর আলো-ছায়ার খেলায় তার প্রতিটি মুহূর্তকে প্রলোভনের শিখায় রূপান্তরিত করো। এতে দর্শকরা শুধু দেখবে না, অনুভব করবে—যেন সুরঙ্গনা নিজে এসে তাদের পাশে বসেছে।

