logo
ads

৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহত: দাবি আফগান তালেবানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশকাল: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৩ পি.এম
৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহত: দাবি আফগান তালেবানের

সংগৃহীত ছবি

আফগানিস্তানের তালেবান সরকার শনিবার গভীররাতে পাকিস্তানের সঙ্গে বিস্তৃত সীমান্তহীন সংঘর্ষের পর ঘোষণা করেছে যে তাদের আক্রমণে কমপক্ষে ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত এবং অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে দুই দেশের সীমান্তিক বহু পয়েন্টে উত্তেজনা বাড়ে এবং কয়েকটি প্রধান স্থল সীমান্ত পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। 

তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেন যে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও সীমান্ত লঙ্ঘনের জবাবে তালেবান বাহিনী বিভিন্ন সীমান্ত পোস্টে আক্রমণ চালিয়ে এসব ক্ষতি করেছে এবং “কোনও আক্রমণ অবিস্মরণীয় থাকবে না” বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে পাকিস্তানে ISIS (বিশেষত 
পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ নিজেদের পক্ষ থেকে সংঘর্ষে কিছু লোকনিষ্ঠ ক্ষতি স্বীকার করলেও নিহতের সংখ্যা নিয়ে তালেবানের দাবি থেকে অনেক কম জানিয়েছে এবং একইসঙ্গে তারা জানিয়েছে যে তালেবান ও সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর কয়েকটি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ও প্রচুর আত্মঘাতী ও সন্ত্রাসী উন্মেষ রোধ করা হয়েছে — পারস্পরিক দাবির স্বতন্ত্র যাচাই এখনও মেলেনি। 

সংঘর্ষের প্রভাবে দু’পক্ষের মধ্যে সীমান্তিক পাস বন্ধ করা হয়েছে এবং কিছু স্থানে গৃহীত সামরিক পদক্ষেপের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সৌদি আরব ও কাতার এই উত্তেজনা ন্যূনতম করতে উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানায় এবং কূটনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণে উৎসাহ দেয়। কাতার ও সৌদি আরবের অনুরোধে সংঘর্ষ সাময়িকভাবে থামানোরও খবর এসেছে। 
উত্তেজনার মূল কারণ ও প্রেক্ষাপট

পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে এসেছে যে আফগান ভূখণ্ডে Tehreek-e-Taliban Pakistan (TTP) ও অন্যান্য অসন্তোষভাই গোষ্ঠীগুলো আশ্রয় নিচ্ছে এবং সেখান থেকে পাকিস্তানে আক্রমণ পরিকল্পনা হচ্ছে — তাতে করে দুই দেশের মধ্যে সন্দেহ ও উত্তেজনা মুলত বাড়ছে। আফগান তালেবান এই অভিযোগ অস্বীকার বা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান না করলে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। 
উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে উচ্চাকাঙ্খাপূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা দাবি করেছে — পাকিস্তান এক দিকে ‘প্রায় ২০০ তালেবান নিহত’ দাবি করেছে বলে কোনো আভাস পাওয়া গেলেও তালেবান তাদের দাবি করেছে ৫৮ পাকিস্তানি নিহত; তা থেকেও পারস্পরিক বর্ণনা ভিন্ন। স্বাধীন তৃতীয় পক্ষ বা বাধ্যতামূলক বিদেশি পর্যবেক্ষকের তৎক্ষণাৎ যাচাই ছাড়া এই casualty-সংখ্যাগুলো স্বতন্ত্রভাবে প্রমাণিত নয়। সাংবাদিক ও বিশ্লেষকরা একে তথ্য-ওpropaganda লড়াই হিসেবেও দেখছেন। 
পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে তীব্রতা বাড়লে দক্ষিন এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তা বাড়ে; উদ্বাস্তু প্রবাহ, সীমান্ত বাণিজ্য ব্যাহত এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর কূটনৈতিক ব্যস্ততা বসে যেতে পারে। ইয়েমেন, সৌদি-কাতার মধ্যস্থতায় কূটনৈতিক উদ্যোগ কার্যকর হলে উত্তেজনা প্রশমনের পথ খোলা থাকতে পারে, কিন্তু তা স্থায়ী কিনা তা সময়ই বলবে। 

পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ও সেনা কর্মকর্তারা ভারতের মতো অন্য কোনো শক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত নৈরাজ্য বা নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার সংকেত দিয়েছেন এবং দেশের প্রতিরক্ষা অক্ষুন্ন রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তালেবান সরকার থেকে আসা হুঁশিয়ারি ও তারপর কূটনৈতিক মধ্যস্থতার আহ্বান—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এখন অস্থিতিশীল তবে কূটনৈতিক কথোপকথনও চলছে। 

সুত্র : রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান, পলিটিকো, এনডিটিভি, আল জাজিরা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ