logo
ads

বকেয়া বেতনের আগুনে মহাসড়ক অবরোধ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশকাল: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪১ পি.এম
বকেয়া বেতনের আগুনে মহাসড়ক অবরোধ

বর্তমান বাংলা

ময়মনসিংহের ভালুকায় শ্রমিকদের রক্ত জ্বালিয়ে দিয়েছে বেকায়দা বেতনের অন্ধকার ছায়া, যেন দীর্ঘ অপেক্ষার বিষাক্ত ফলে ফেটে পড়েছে ক্ষোভের ঝড়—সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবিতে শেফার্ড গ্রুপের শ্রমিকরা সোমবার সকালে উপজেলার কাঠালী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অবরোধ করে দাঁড়িয়েছে, যা যেন শ্রমের অধিকারের জন্য এক নির্মম যুদ্ধের ঘোষণা। এই অবরোধের ফলে মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, দুরপাল্লার বাস ও অন্যান্য যানবাহনের যাত্রী যেন অসহায় বন্দী হয়ে পড়েছেন ধুলোময় রাস্তায়, তাঁদের মুখে ফুটে উঠেছে ভোগান্তির অশ্রু। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন, প্রশাসনের আশ্বাসের আলোয় অবরোধ তুলে নেওয়ায় ধীরে ধীরে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়—কিন্তু শ্রমিকদের হৃদয়ে জ্বলছে দাবির অগ্নিকুণ্ড, যা যেন আরও তীব্র হবে না মেটালে।

শ্রমিক নেতারা জানান, তাঁদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে সেপ্টেম্বরের বকেয়া বেতন পরিশোধ, প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কাউকে চাকরিচ্যুত না করা, ওভারটাইম হার ৬৮ শতাংশ বহাল রাখা, হাজিরা বোনাস ১,০০০ টাকা নির্ধারণ, টিফিন বিল ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা, প্রতিদিন ন্যূনতম চার ঘণ্টা ওভারটাইম নিশ্চিত, অবসরের পর পেনশন ও ফান্ডের টাকা দুই মাসের মধ্যে পরিশোধ, সর্বনিম্ন বেতন ১০,৪১৭ টাকা নির্ধারণ এবং প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে বেতনবৃদ্ধি—এই দাবিগুলো যেন শ্রমিকদের জীবনের অস্তিত্বের চিৎকার, যা দীর্ঘদিনের অবহেলায় জমে উঠেছে বিদ্রোহের আগুনে। শেফার্ড গ্রুপের বিভিন্ন সেকশনে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কর্মরত, এর মধ্যে জিংস সেকশনে ৬৭০ জন—দীর্ঘদিন ধরে এসব দাবি জানিয়ে আসলেও কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা সড়কে নেমেছে, যেন এই অবরোধ শুধু প্রতিবাদ নয়, বরং অধিকারের অটল দুর্গ। দাবি বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়ে শ্রমিকরা যেন শিল্পপতিদের সতর্ক করেছেন, এই আগুন যেন আরও জ্বলে উঠবে না মেটালে।

শেফার্ড গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মো. মোখলেশুর রহমান বলেন, “শ্রমিকদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে, দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে”—কিন্তু এই কথা যেন শ্রমিকদের কানে মধুর স্বাদ আনে না, যতক্ষণ না বাস্তবে রূপ নেয়। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ময়মনসিংহ জোন-৫-এর পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন খান জানান, “সাধারণত বেতন ১০ তারিখের পর দেওয়া হয়, কিন্তু এবার ২৩ তারিখে ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা সড়কে নামে; আলোচনায় ২০ অক্টোবরের মধ্যে বেতন পরিশোধের সিদ্ধান্ত হলে শ্রমিকরা শান্ত হয়েছে—কিন্তু এই অস্থায়ী শান্তি যেন স্থায়ী হলে না, আরও ঝড় উঠবে।” এই ঘটনা ভালুকার শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অধিকারের প্রশ্ন জাগিয়েছে, যেখানে তিন হাজার শ্রমিকের ভবিষ্যত যেন এক অসমাপ্ত যুদ্ধের ময়দানে দাঁড়িয়ে—প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ না হলে এই অবরোধ যেন আরও বিস্তৃত হয়ে উঠবে, শ্রমের মর্যাদা রক্ষার জন্য।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ