logo
ads

চতুর্থ স্ত্রীকে মাসে ৩০ হাজার রুপি ভরণপোষণ নির্দেশ হাইকোর্টের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশকাল: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১৮ এ.এম
চতুর্থ স্ত্রীকে মাসে ৩০ হাজার রুপি ভরণপোষণ নির্দেশ  হাইকোর্টের

সংগৃহীত ছবি

ভারতের উত্তরপ্রদেশের রামপুরের সমাজবাদী পার্টির সাংসদ (এমপি) মোহিবুল্লাহ নদভীকে তার চতুর্থ স্ত্রীকে মাসিক ৩০ হাজার রুপি ভরণপোষণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আলাহাবাদ হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত বিষয়টি বিবাহবিচ্ছেদ মীমাংসা কেন্দ্রের মাধ্যমে সমঝোতার সুযোগ হিসেবে তিন মাস সময় দিয়েছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি সুভাষ চন্দ্র শর্মা বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক আদেশে বলেন, সংসারিক বিরোধের প্রকৃতি এমন যে, মধ্যস্থতার মাধ্যমে সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আদালত মামলাটি হাইকোর্টের মিডিয়েশন সেন্টারে পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, এমপি নদভীকে ৫৫ হাজার রুপি জমা দিতে হবে, যার মধ্যে ৩০ হাজার রুপি প্রতি মাসে স্ত্রীকে ভরণপোষণ হিসেবে দিতে হবে।

মোহিবুল্লাহ নদভী আগেই ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল আগ্রা ফ্যামিলি কোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন। ওই আদেশেও স্ত্রীকে মাসিক ভরণপোষণের নির্দেশ ছিল। তার আইনজীবী আদালতে যুক্তি দেন যে, “বিবাহসংক্রান্ত এই বিরোধ বন্ধুত্বপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব, এমপি নদভীরও সেই ইচ্ছা রয়েছে।”

আদালত আবেদনকারীর বক্তব্য শুনে বলেন, “রেকর্ড ও উপস্থাপিত যুক্তির ভিত্তিতে আদালত সন্তুষ্ট যে, মামলার প্রকৃতি এমন যে তা আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসার সম্ভাবনা রাখে। তাই মধ্যস্থতা কেন্দ্রের মাধ্যমে সমাধান চেষ্টা করা উচিত।”

হাইকোর্ট আরও সতর্ক করে দিয়েছে, যদি নদভী নির্ধারিত অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হন বা মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, তবে আদালতের দেওয়া অস্থায়ী আদেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে এবং পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মোহিবুল্লাহ নদভী উত্তরপ্রদেশের রামপুর আসন থেকে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে নির্বাচিত এমপি। তার বিরুদ্ধে পারিবারিক অস্থিরতা ও একাধিক বিবাহসংক্রান্ত অভিযোগ নতুন নয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, তার চতুর্থ স্ত্রীর করা মামলায় ভরণপোষণের দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই চলছিল।

রাজনৈতিক মহলে এই রায় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিরোধীরা বলছে, “এমপিদের ব্যক্তিগত আচরণ দলীয় ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলছে”, অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা হয়নি।

ভারতে সংসারিক বিরোধ বা ভরণপোষণ মামলা সংক্রান্ত এমন সিদ্ধান্ত নতুন নয়, তবে একজন জনপ্রতিনিধি ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ বিষয়টিকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। নারী অধিকার সংগঠনগুলো এই রায়কে “নারীর ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতের ইতিবাচক দৃষ্টান্ত” হিসেবে অভিহিত করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ