logo
ads

নেত্রকোণায় শিক্ষার অন্ধকারে চার কলেজের কান্না!

নেত্রকোণা প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:২৯ পি.এম
নেত্রকোণায় শিক্ষার অন্ধকারে চার কলেজের কান্না!

বর্তমান বাংলা

নেত্রকোণার শিক্ষার আকাশে যেন একটা কালো মেঘ নেমে এসেছে—এইচএসসি-২০২৫-এ চার কলেজ থেকে একজনও শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি, আরেকটিতে কেউ পরীক্ষা দেয়নি, যেন শিক্ষার মন্দিরে লুকিয়ে আছে অকর্মণ্যতার ভয়াবহ ছায়া, যা হাজারো স্বপ্নকে ধুলিসাৎ করে দিয়ে সমাজের হৃদয়ে গভীর ক্ষত ফুটিয়ে তুলেছে! কেন্দুয়া উপজেলার গোপালপুর মডেল কলেজ, জনতা আদর্শ কলেজ, গড়াডোবা আব্দুল হামিদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নেত্রকোণা সদরের ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন কলেজ ও লোক সংস্থা, এবং পূর্বধলার জোবাইদা জহোরা উদ্দিন সরকার মহিলা কলেজ—এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অকৃতকার্য যেন একটা বিষাক্ত নদীর মতো বয়ে যাচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতকে গ্রাস করে ফেলছে, আর অভিভাবকদের চোখে অশ্রুর ধারা বইয়ে দিচ্ছে—গোপালপুর মডেলে ১২ জন সবাই ফেল, জনতায় ৯ জনের পুরো ব্যর্থতা, ভাষা সৈনিকে ২ জন, জোবাইদায় ৩ জন, আর গড়াডোবায় কেউ পরীক্ষা দেয়নি—এই অন্ধকার কীভাবে এত গভীর হয়ে উঠলো?

গোপালপুর মডেলের অধ্যক্ষ সুজিত কান্তি করের কণ্ঠে অসহায়তার ছায়া, “শিক্ষার্থীরা পড়ায় মনোযোগী নয়, অনেকে গার্মেন্টসে চলে গেছে, আর কলেজ এমপিওভুক্ত না হওয়ায় খণ্ডকালীন শিক্ষকদের হাতে পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে”—যেন একটা ভাঙা সেতুর উপর দিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ে পড়ে লুটিয়ে পড়ছে, আর সমাজের আইনের চোখ বন্ধ হয়ে আছে এই অকর্মণ্যতার প্রতি! জনতা আদর্শের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ তাজিম উদ্দিন ফকির বলেন, “গত বছর ভালো ছিল, এবারের এই দুর্নাম কাটাতে আগামী বছর শতভাগ পাসের লক্ষ্য নিয়ে চেষ্টা করব”—কিন্তু এই অকৃতকার্য যেন একটা কালো দাগ, যা শিক্ষকদের হৃদয়ে লজ্জার কাঁটা বিঁধিয়ে রেখেছে, আর শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমীনের ঘোষণা যেন একটা আশার ঝলক, “এই চার কলেজের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে”—আর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, “৪৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩,৯০০ জনের মধ্যে ৬,৫৮৭ জন পাস করেছে, পাসের হার ৪৭.৩৯%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৭ জন—কিন্তু এই চারটির অকৃতকার্যের তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেব”—যেন আইনের হাত এখন জেগে উঠছে এই অন্ধকারের বিরুদ্ধে। নেত্রকোণা সরকারি কলেজের সাফল্য যেন একটা উজ্জ্বল তারা, যেখানে ১,০১৩ পাসের মধ্যে ১০৯ জিপিএ-৫, কিন্তু মহিলা কলেজে মাত্র ৫ জিপিএ-৫, আবু আব্বাসে ৯৪২ ফেল, আর আলহাজ মফিজ উদ্দিন তালুকদার কলেজে কেন্দ্র পরিবর্তনে ১০৪ ফেল—এই বিপর্যয় যেন শিক্ষার মাটিতে ফুটে উঠছে অকর্মণ্যতার কাঁটা, যা ময়মনসিংহ বোর্ডের ৫১.৫৪% পাসের হারের ছায়ায় নেত্রকোণার ৪৭.৩৯%-কে আরও কালো করে তুলছে। এই অকৃতকার্যের অন্ধকার কবে ফুটবে আলোর আলোয়, যাতে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন আর না হয় ভেঙে পড়তে পারে এই ব্যর্থতার জ্বালায়?

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ