logo
ads

মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষনের প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৯ পি.এম
মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষনের প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ

বর্তমান বাংলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুম্মার পর উঠে আসা বিক্ষোভের ঢেউ যেন একটা ক্ষতবিক্ষত মায়ের আর্তনাদ—গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ১৩ বছরের নিরীহ মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে তিনদিন আটকে রেখে হিন্দু যুবক জয় কুমার দাসের নির্মম ধর্ষণের অন্ধকার ছায়ায় জবির শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্বজিৎ চত্বরে সমাবেশ করে ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে, যেন একটা ভাঙা স্বপ্নের শিকড় থেকে উঠে আসা রক্তের নদী! ‘ধর্ষকের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘আমার বোন ধর্ষণ কেনো, ইন্টারিম জবাব চাই’, ‘ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে’—এই স্লোগানগুলো যেন ক্যাম্পাসের বাতাসে ছড়িয়ে পড়া বিষাক্ত ধোঁয়া, যা সমাজের হৃদয়ে জাগিয়ে তুলছে একটা গভীর আবেগের ঝড়, কারণ এই অপরাধের ভয়াবহতা যেন একটা নির্মম ছুরির ফলা, যা শিশুর মায়াময় শরীরে চিরকালের ক্ষত ফুটিয়ে তুলেছে, আর আইনের চোখ বন্ধ হয়ে আছে এই বিশ্বাসঘাতকতার প্রতি!

সমাবেশে বক্তাদের কণ্ঠ যেন একটা দাহ্য আগুন—জবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “ধর্ষক ও নিপীড়নকারীদের একমাত্র ঠিকানা জেলখানা ও জাহান্নাম, গাজীপুরের এই ঘৃণ্য ঘটনার দ্রুত বিচার করতে হবে, যেন শিশুর কান্না আর না হয় আইনের অন্ধকারে হারিয়ে যায়!” ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিবের কথায় ফুটে উঠছে ক্ষোভের দাহ, “ইন্টারিম সরকারের সময় থেকে চারশোর বেশি ধর্ষণ, কিন্তু বিচারহীনতার সংস্কৃতি যেন একটা বিষাক্ত চক্র, ধর্ষকের ধর্ম নেই—তার শাস্তি সর্বোচ্চ, না হলে সমাজের নারীরা কীভাবে নিরাপদে চলবে?” আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুদ রানা বলেন, “একের পর এক ধর্ষণকে স্বাভাবিক করে তোলা হচ্ছে, বিচার দীর্ঘায়িত, অবিলম্বে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, না হলে আইনের হাত কাঁপবে কেন?” জুলাই আন্দোলনের সংগঠক সাজ্জাদ হুসাইন মুন্না বলেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে এমন পাশবিকতা হতাশাজনক, নারীদের নিরাপত্তা সরকারের দায়িত্ব—প্রয়োজনে বিশেষ আইন করে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে, যেন এই অন্ধকার আর না হয় শিশুদের স্বপ্ন গ্রাস করে!”

এই বিক্ষোভ যেন শুধু একটা মিছিল নয়, বরং সমাজের হৃদয়ে জ্বলন্ত একটা প্রতিজ্ঞা—ধর্ষণের বিচারহীনতার সংস্কৃতি ভেঙে ফেলতে, ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্র ও প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলছেন, “আর বিচারহীনতার অন্ধকার সহ্য করব না!”—এই অপরাধের ভয়াবহ ছায়ায় কত শিশুর চোখে অশ্রু, কত পরিবার ভেঙে পড়েছে, আর আইনের হাত কবে এই নির্মম চক্র ছিন্ন করবে, যাতে নারীদের হাসির অধিকার ফিরে আসে এই অন্ধকারের গ্রাস থেকে?

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ