logo
ads

জাপানে ভুয়া ফুটবল দল গঠন করে মানব পাচার: পাকিস্তানে দালাল গ্রেপ্তার

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশকাল: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৭ এ.এম
জাপানে ভুয়া ফুটবল দল গঠন করে মানব পাচার: পাকিস্তানে দালাল গ্রেপ্তার

সংগৃহীত

পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) ফুটবল এজেন্ট পরিচয়ে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ওয়াকাস আলী, শিয়ালকোটের পাসরুরের বাসিন্দা, ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে অবৈধ অভিবাসীদের ফুটবল খেলোয়াড় সাজিয়ে জাপান পাঠাতেন। এফআইএ-এর গুজরানওয়ালা জোন ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে আটক করে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। 
এফআইএ-এর তদন্তে জানা গেছে, ওয়াকাস আলী ‘গোল্ডেন ফুটবল ট্রায়াল’ নামে একটি ভুয়া ক্লাব গড়ে তুলেছিলেন। তিনি বোয়াভিস্তা ফুটবল ক্লাবের জাল আমন্ত্রণপত্র এবং পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন (পিএফএফ) ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নকল অনাপত্তিপত্র ব্যবহার করে অভিবাসীদের জাপানের ১৫ দিনের ভিসা সংগ্রহ করতেন। প্রত্যেক অভিবাসীর কাছ থেকে তিনি ৪০ থেকে ৪৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি আদায় করতেন। তদন্তে আরও প্রকাশ পেয়েছে, এই প্রতারণার মাধ্যমে মোট ১০ কোটিরও বেশি রুপি হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। 
এফআইএ-এর গুজরানওয়ালা জোনের পরিচালক মুহাম্মদ বিন আশরাফ জানান, ওয়াকাসের নেটওয়ার্কে আরও সদস্য জড়িত, এবং তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। পিএফএফ স্পষ্ট করেছে যে, ‘গোল্ডেন ফুটবল ট্রায়াল’ কোনো স্বীকৃত ক্লাব নয় এবং তাদের কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ফেডারেশন এই ঘটনাকে পাকিস্তান ফুটবলের জন্য কলঙ্কজনক মনে করে এবং এ ধরনের প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে। 
জাপানের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে মানব পাচারের নতুন কৌশল হিসেবে চিহ্নিত করে পাকিস্তানকে সতর্ক করেছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, এই ভুয়া ফুটবল দলের সদস্যরা কীভাবে পাকিস্তানের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পেরিয়ে যেতে সক্ষম হলো। এফআইএ এখন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে এই ফাঁকফোকর বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে। 

অতীতের ঘটনা
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি, ওয়াকাস আলী ১৭ জন অভিবাসীকে ভুয়া ফুটবল দল হিসেবে জাপান পাঠান। তারা জাপানে পৌঁছে ফিরে আসেননি, যা মানব পাচারের ইঙ্গিত দেয়। এরপর ২০২৫ সালের ১৫ জুন, তিনি ২২ জনের আরেকটি ভুয়া দল পাঠানোর চেষ্টা করেন। তারা ফুটবল কিট পরে এবং জাল কাগজপত্র নিয়ে সিয়ালকোট বিমানবন্দর থেকে রওনা হন। কিন্তু জাপানের বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের প্রতারণা ধরা পড়ে, এবং অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাদের ফেরত পাঠায়। এই ঘটনার পর এফআইএ তদন্ত শুরু করে এবং ওয়াকাসকে গ্রেপ্তার করে। 
এই ঘটনা পাকিস্তানে মানব পাচারের ক্রমবর্ধমান সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে, যেখানে অবৈধ অভিবাসনের নামে হাজার হাজার মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন। এফআইএ এবং পিএফএফ এখন এই ধরনের কার্যক্রম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ