logo
ads

বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটে চট্টগ্রাম যে বরাদ্দ পেল

মোঃ সিরাজুল মনির, চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশকাল: ৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৬ এ.এম
বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটে চট্টগ্রাম যে বরাদ্দ পেল

প্রতিকী ছবি

বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটে দেশের ৩৩০ পৌরসভার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের প্রথম কিস্তি বাবদ ৮৬ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছাড় করেছে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ পৌরসভা পেয়েছে ৩ কোটি ৯২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। ছাড়কৃত অর্থ অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে, যা পৌর এলাকায় উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ছাড়কৃত অর্থের মধ্যে ৫০ শতাংশ সবগুলো পৌরসভায় সমহারে দেওয়া হয়। বাকি ৫০ শতাংশকে আবার ১০০ ভাগ ধরে পৌরসভার আয়তন, জনসংখ্যা, রাজস্ব আয় এবং জলবায়ু বিপদাপন্ন সূচক হিসেবে বিতরণ করা হয়। এক্ষেত্রে পৌরসভার আয়তনের বিপরীতে ২৫ শতাংশ, জনসংখ্যার বিপরীতে ৩৫ শতাংশ, রাজস্ব আয়ের বিপরীতে ২০ শতাংশ এবং জলবায়ু বিপদাপন্ন সূচকের বিপরীতে ২০ শতাংশ হারে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটে দেশের পৌরসভাসমূহের জন্য উন্নয়ন সহায়তা খাতে চলতি ২০২৫–২০২৬ অর্থবছরে বরাদ্দ আছে ৪৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সাধারণ বরাদ্দ উপখাতে রক্ষিত আছে ৩৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মূলত সাধারণ বরাদ্দ উপখাত থেকেই ৮৬ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছাড় করা হয়েছে। এ বিষয়ে গত মাসে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন দাপ্তরিক পত্র দিয়েছেন একই বিভাগের চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসারকে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের পৌরসভাগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে নয়টি পৌরসভা ‘ক’, পাঁচটি পৌরসভা ‘খ’ এবং একটি পৌরসভা ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত।

‘ক’ শ্রেণির পৌরসভাগুলো হচ্ছে: পটিয়া, বারইয়ারহাট, সীতাকুণ্ড, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, হাটহাজারী, রাউজান ও মীরসরাই।
‘খ’ শ্রেণির পৌরসভাগুলো হচ্ছে: রাঙ্গুনিয়া, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, বোয়ালখালী ও দোহাজারী।
‘গ’ শ্রেণির পৌরসভাটি হলো নাজিরহাট। উল্লেখ্য, দোহাজারী পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত ছিল। গত ১৪ সেপ্টেম্বর এ পৌরসভাকে ‘খ’ শ্রেণিতে উন্নীত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এদিকে ছাড়কৃত অর্থের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত পৌরসভাগুলো পেয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ ২৪ হাজার টাকা, ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত পৌরসভাগুলো পেয়েছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার টাকা এবং ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভা পেয়েছে ২৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।

এর মধ্যে পৃথকভাবে বরাদ্দ পাওয়া পৌরসভাগুলো হলো:
পটিয়া: ২৭ লাখ ১২ হাজার টাকা
বারইয়ারহাট: ১৯ লাখ ৩ হাজার টাকা
সীতাকুণ্ড: ২৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা
সাতকানিয়া: ২৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা
বাঁশখালী: ২৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা
চন্দনাইশ: ২৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা
হাটহাজারী: ৩১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা
রাউজান: ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা
মীরসরাই: ২০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা
রাঙ্গুনিয়া: ২১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা
সন্দ্বীপ: ২৭ লাখ ৮ হাজার টাকা
বোয়ালখালী: ৩০ লাখ ৫২ হাজার টাকা
ফটিকছড়ি: ২৭ লাখ ৮ হাজার টাকা
নাজিরহাট: ২৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা

স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন জানান, মঞ্জুরীকৃত অর্থ কোনো অবস্থাতেই পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যতীত অন্য কোনো কাজে ব্যয় করা যাবে না। বিএমডিএফের ঋণের কিস্তিও এই অর্থ থেকে পরিশোধ করা যাবে না। একইসঙ্গে অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জারীকৃত পৌরসভা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট পৌরসভার প্রশাসক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা পৌর নির্বাহী কর্মকর্তাগণ যৌথভাবে মঞ্জুরীকৃত অর্থের আয়-ব্যয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে পিপিআর–২০০৮ (সর্বশেষ সংশোধনীসহ) অনুসরণসহ যাবতীয় আর্থিক বিধি-নিষেধ যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট বিল উত্তোলনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ