নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তান অধিনায়কের মধ্যে এক অনাবশ্যক দূরত্ব আবারও চোখে পড়েছে। আজ কলম্বোতে অনুষ্ঠিত লিগ পর্বের টসের সময় ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানাকে একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা যায়নি।
গত সপ্তাহে শেষ হওয়া ছেলেদের এশিয়া কাপে ভারত–পাকিস্তান তিনবার মুখোমুখি হয়েছিল, তবু একবারও দুই অধিনায়ক হাত মেলাননি। ম্যাচের পরেও দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সাধারণ শুভেচ্ছা বিনিময় দেখা যায়নি।
এই অনুশীলনটি মূলত ভারতের দিক থেকেই এসেছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে টসের সময় পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগারের সঙ্গে হাত মেলাননি ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। পরে জানা যায়, ভারতীয় ক্রিকেট দল ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে আগেই জানিয়েছিল যে দুই অধিনায়ক হাত মেলাবেন না। এই সিদ্ধান্ত এশিয়া কাপজুড়ে আলোচনার বিষয় ছিল।
ছেলেদের পর এবার মেয়েদের ক্রিকেটেও ভারত একই অবস্থান বজায় রাখবে বলে দুই দিন আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া। তিনি বলেছিলেন, “শত্রুভাবাপন্ন দেশটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক একই রকম আছে, কোনো পরিবর্তন হয়নি।”
আজ টসে জিতেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সানা। তিনি বেছে নিয়েছেন বোলিং করতে। পাকিস্তান তাদের আগের ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে, বিপরীতে ভারত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডিএলএস পদ্ধতিতে ৫৯ রানে জয়ী হয়েছে।
এই পরিস্থিতি ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট দ্বন্দ্বের দীর্ঘ ইতিহাসকে আরও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রীড়ার মানসিকতা ও কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রভাব ক্রমেই ক্রিকেটেও প্রতিফলিত হচ্ছে।

