ফুটবলে দল বদলের বাজারে ঝড় তুলে বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে দলে ভিড়িয়েছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। কাতালান ক্লাবটিকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা দিয়ে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে কিনে রেকর্ডই করে বসে ফরাসি ক্লাবটি। এখন পর্যন্ত যে রেকর্ড ভাঙতে পারেনি কোনো ক্লাবই।
ইউরোপের দল বদলের বাজারে কাড়িকাড়ি অর্থ ঢালতে পিএসজির জুড়ি নেই। ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটির চেয়ারম্যা্ন নাসের আল-খেলাইফি ক্লাবটিকে বিশ্বসেরা বানাতে সম্ভাব্য সব কিছুই করেছেন। এবার পিএসজির চোখ পড়েছে বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা ফুটবলার লামিনে ইয়ামালের ওপর। বার্সার এই স্প্যানিশ উইঙ্গারকে নাকি যেকোনো মূল্যে দলে নিতে চায় পিএসজি।
ফরাসি ‘ফুটবল ইনসাইডারের’ সাংবাদিক রোমেইন মোলিনা বলছেন আরেকবার দল বদলের বাজারে রেকর্ড চূর্ণবিচূর্ণ করে ইয়ামালকে দলে ভেড়াতে প্রতিজ্ঞাই নাকি করেছে পিএসজি। কাতারি বিলিয়নিয়াদের বার্তা একেবারে স্পষ্ট, ‘আমরা তাকে চাই, দাম যাই হোক না কেন। আমরা তাকে চাই, যাই ঘটুক না কেন। আমরা চাচ্ছি যে কোনো একদিন সে আমাদের সাথে থাকবে।’
ফরাসি সাংবাদিক মোলিনার মতে ইয়ামালের বাবা-মাকে পিএসজি আমন্ত্রণও জানিয়েছিল। তাদের অনেক কিছুর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। মোলিনা জানান, দোহায় কাতারি স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপের এক সভায় ইয়ামালকে কেনার বিষয়ে নাকি অগ্রাধিকার দিয়েছে পিএসজি। আগামী কয়েক বছরে এটি সফল করার পরিকল্পনা করেছে তারা।
১৮ বছর বয়সে পা রাখার পরপরই বার্সার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করে ইয়ামাল। কয়েক মাস আগে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির সঙ্গে ২০৩১ সাল পর্যন্ত চুক্তি বাড়িয়ে নেন ক্লাবটির ১০ নম্বর জার্সিধারী। ইয়ামালের রিলিজ ক্লজ বার্সা প্রকাশ না করলে অনেক সংবাদমাধ্যমের মতে সংখ্যাটা চোখ কপালে তোলার মতো। এক বিলিয়ন ইউরো! অর্থাৎ কোনো ক্লাব বার্সার তাকে কিনতে চাইলে অন্তত বাংলাদেশী টাকায় ১০ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে।
অবশ্য কাতারি বিনিয়োগকারী সংস্থা স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপের কাছে টাকা কোনো বিষয়ই নয়। ২০১১ সালে প্যারিসের ক্লাবটিকে বিশ্বসেরা বানানোর মিশন নেওয়ার পর ১৪ বছরে ক্লাবটি প্রায় খরচ করেছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। ইয়ামালকে দলে নিতে নেইমারকে কেনার রেকর্ড যদি তারা আবার লিখে, তাতে খুব বেশি অবাক হতে হবে না।

