লালমনিরহাটের মিশন মোড়ে একতার ঢেউ উঠেছে, যেন হাজারো শিক্ষকের কণ্ঠ একসঙ্গে গর্জন করে! বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম (বামাশিকফো), লালমনিরহাট সদর উপজেলা শাখার "একতা প্রচেষ্টা সফলতা" শ্লোগানে বুধবার ১৫ অক্টোবর ২০২৫-এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ যেন শিক্ষক সমাজের হৃদয়ের অগ্নিশিখা, যা অবহেলার অন্ধকারকে চ্যালেঞ্জ জানায়। এই মানববন্ধন শুধু প্রতিবাদ নয়, এটি এক মহান স্বপ্নের জয়গান—যেখানে শিক্ষকদের লজ্জা ও যন্ত্রণা মিলে হয়েছে ন্যায়ের এক অটুট দাবিতে, যা হাজারো হৃদয়কে স্পর্শ করে কাঁদিয়ে দেয়।
বক্তাদের কণ্ঠে উঠে এলো গভীর ব্যথা ও অদম্য আশা, যেন প্রতিটি শব্দ শিক্ষক জীবনের অশ্রুসিক্ত অধ্যায়। শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি স্মরণ করে তারা দাবি তোলেন—এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ২০% বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫% উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি। এই দাবি যেন একটি জীবন্ত স্বপ্ন, যা শিক্ষকদের দৈনন্দিন যন্ত্রণাকে স্পর্শ করে, তাদের পরিবারের লড়াইকে আলিঙ্গন করে। শিক্ষকদের উপর পুলিশি নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে বক্তারা চিৎকার করেন, “আমরা জাতি গড়ার কারিগর, তবু অত্যাচারের শিকার—এ কী অমানবিকতা!” তাঁদের কণ্ঠে মিশে আছে ক্ষোভের আগুন, যা সমাজের নীরবতাকে ভেঙে দেয়, ন্যায়ের জন্য এক মৌন ক্রন্দন জাগায়।
এই মানববন্ধন যেন লালমনিরহাটের মাটিতে এক নতুন অধ্যায় লিখছে, যেখানে শিক্ষকরা শুধু দাবি করছেন না, তারা একতার শক্তিতে সমাজকে জাগিয়ে তুলছেন। এই লড়াই শুধু বামাশিকফোর নয়, এটি প্রতিটি শিক্ষকের হৃদয়ের লড়াই—যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন করে গড়ে তুলবে। একতার এই জয়ধ্বনি যেন আকাশ ছুঁয়ে যায়, অবহেলার অন্ধকার দূর করে ন্যায়ের আলো ছড়িয়ে দেয়!

