logo
ads

শিক্ষার আলোতে কালো ছায়া: প্রধান শিক্ষকের মাদক কেলেঙ্কারি, হৃদয়ে ক্ষোভের আগুন

ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২০ পি.এম
শিক্ষার আলোতে কালো ছায়া: প্রধান শিক্ষকের মাদক কেলেঙ্কারি, হৃদয়ে ক্ষোভের আগুন

বর্তমান বাংলা

ফরিদপুরের শান্ত শহরে আজ এক হৃদয়বিদারক ঘটনা! যেখানে শিক্ষার মন্দিরে আলো ছড়ানোর কথা ছিল, সেখানে মুসলিম মিশন গ্রানাডা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহরিয়ার আহমেদ খান নিজামি (৫০) মাদকের বিষাক্ত জালে ধরা পড়েছেন—ইয়াবা ও গাঁজা সেবনরত অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে গ্রেফতার। এই ঘটনা যেন ফরিদপুরের শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে ছুরির মতো বিঁধেছে, অভিভাবকদের চোখে জল এনে দিয়েছে। একজন শিক্ষক, যিনি শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর, তিনি নিজেই মাদকের অন্ধকারে ডুবে গেছেন—এই সত্য যেন শিক্ষার পবিত্রতাকে কলঙ্কিত করেছে, আর ফরিদপুরের মানুষের বুকে জ্বালিয়ে দিয়েছে ক্ষোভের আগুন। ১৫ অক্টোবর ২০২৫-এর এই অভিযান যেন এক মর্মান্তিক কাহিনি, যা শিক্ষার আদর্শের পতনের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে, তবুও ন্যায়ের জয়ে আশার স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়েছে।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে গুহ লক্ষ্মীপুর মহল্লার রতন ঢালীর রিকশা গ্যারেজের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান যেন এক তীক্ষ্ণ তলোয়ার, যা মাদকের অন্ধকার জাল ছিন্ন করে দিয়েছে। সন্ধ্যার অন্ধকারে শাহরিয়ার আহমেদ খান নিজামিকে ইয়াবা সেবনরত অবস্থায় হাতেনাতে ধরা হয়, তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৫০ গ্রাম গাঁজা ও ৫ পিস ইয়াবা—এই বিষাক্ত মাল যেন শিক্ষার পবিত্র মন্দিরে কালো দাগ, যা শিশুদের স্বপ্নকে বিষিয়ে তুলতে পারত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের মোবাইল কোর্টে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, এবং কারাগারে পাঠানো হয়—এই সিদ্ধান্ত যেন ন্যায়ের এক অমর জয়ধ্বনি, যা ফরিদপুরের মানুষের হৃদয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিয়েছে। কোতোয়ালি থানায় মামলা (নং: ৯৯/২৫) দায়ের করে সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম এই অপকর্মের শেষ অধ্যায় লিখেছেন, যেন শিক্ষার পবিত্রতা ফিরিয়ে আনার শপথ নিয়েছেন।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেনের কণ্ঠে ফুটে উঠছে দৃঢ়তার সুর, “ফরিদপুরে মাদক নির্মূলে আমরা কঠোর। এই অভিযানে একজন প্রধান শিক্ষককে ইয়াবা ও গাঁজা সেবনরত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।” তাঁর চোখে জ্বলছে ন্যায়ের আলো, যেন তিনি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য নিজের সন্তানের মতো লড়ছেন। কিন্তু এই ঘটনা ফরিদপুরের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে—যেখানে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে, সেখানে আশার স্ফুলিঙ্গও ফুটে উঠছে। একজন প্রধান শিক্ষক, যিনি শিশুদের হাত ধরে জীবনের পথ দেখানোর কথা, তিনি নিজেই মাদকের অন্ধকারে ডুবে গেছেন—এই সত্য যেন শিক্ষার মন্দিরে এক কালো দাগ, যা অভিভাবকদের চোখে জল এনে দিয়েছে, শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে প্রশ্ন জাগিয়েছে। তবুও, ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই কঠোর পদক্ষেপ যেন এক বার্তা—মাদকের বিরুদ্ধে কোনো ছাড় নেই, শিক্ষক হলেও ন্যায়ের তলোয়ার কাউকে রেহাই দেবে না।

এই ঘটনা ফরিদপুরের শিক্ষার্থীদের বুকে ব্যথার কাঁটা হয়ে বিঁধলেও, জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই অভিযান যেন এক মহান বিজয়ের গান। শিক্ষার পবিত্রতা রক্ষায়, যুবকদের ভবিষ্যৎ বাঁচাতে এই লড়াই অব্যাহত থাকুক—যেন আর কোনো শিক্ষক মাদকের অন্ধকারে হারিয়ে না যায়, আর কোনো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন বিষাক্ত না হয়। ফরিদপুরের এই জয় যেন দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিধ্বনিত হয়, মাদকের কালো ছায়া দূর হয়ে উঠুক শিক্ষার অমর আলোয়!

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ