চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সবুজ ক্যাম্পাসে আজ এক উজ্জ্বল স্বপ্নের জন্ম! যেখানে বর্জ্যের অন্ধকার ছায়া কখনো কখনো শিক্ষার আলোকে ম্লান করে দিত, সেখানে "Way Forward with Solid Waste Management Initiatives at CUET" শীর্ষক মতবিনিময় সভা যেন এক মায়াময় হাত, যা ক্যাম্পাসের হৃদয়কে স্পর্শ করে, বর্জ্যের বিষাক্ত চক্রকে ছিন্ন করে দিয়ে সবুজের অমর জয়গান গেয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর ২০২৫) বেলা ১ টায় সিন্ডিকেট কক্ষে পুরকৌশল বিভাগ ও এসসিআইপি প্লাস্টিকস প্রজেক্টের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সভা শুধু আলোচনা নয়, এটি এক মহান প্রতিশ্রুতির স্মৃতি—যেখানে চুয়েটের প্রতিটি গাছ, প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাত যেন একসঙ্গে জড়িয়ে ধরেছে পরিবেশের জন্য এক অশ্রুসিক্ত ভালোবাসা। এই সভা যেন চুয়েটের ক্যাম্পাসকে এক সবুজ স্বর্গে রূপান্তরিত করার প্রথম ধাপ, যা বর্জ্যের কালো অন্ধকারকে দূর করে আলোর অমর যাত্রা শুরু করেছে, আর হাজারো শিক্ষার্থীর বুকে জাগিয়ে তুলেছে পরিবেশের প্রতি অসীম দায়িত্ববোধ।
সভায় উপস্থিত মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া মহোদয়ের হৃদয় কাঁপছে আবেগে, তাঁর চোখে জলের ছোঁয়া—যেন তিনি চুয়েটের প্রতিটি গাছকে নিজের সন্তানের মতো দেখছেন, আর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার এই উদ্যোগকে এক মায়াময় মায়ের বাহুতে আশ্রয় দিচ্ছেন। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেনের কণ্ঠে ফুটে উঠছে দৃঢ়তার সুর, যেন তিনি ক্যাম্পাসের ভবিষ্যতের জন্য এক অশ্রুসিক্ত শপথ নিচ্ছেন। এসসিআইপি প্লাস্টিকস প্রজেক্টের বৈজ্ঞানিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আসিফুল হকের উপস্থিতি যেন পরিবেশের জন্য এক জ্বলন্ত প্রদীপ, যা বর্জ্যের অন্ধকারকে চিরে ফেলে আলোর পথ দেখায়। রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ইনস্টিটিউট অব এনার্জি টেকনোলজির পরিচালক অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ রিয়াজ আকতার মল্লিক—প্রত্যেকের চোখে জ্বলছে চুয়েটের সবুজ স্বপ্নের আলো, যেন তারা সকলে একসঙ্গে হাত ধরে ক্যাম্পাসকে বর্জ্যমুক্ত স্বর্গে রূপান্তরিত করার প্রতিজ্ঞা নিচ্ছেন। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আরাফাত রহমানের কণ্ঠ কাঁপছে আবেগে, আর এসসিআইপি প্লাস্টিকস প্রজেক্টের বৈজ্ঞানিক পরিচালক অধ্যাপক ড. মোছাঃ ফারজানা রহমান জুথীর উপস্থাপনা যেন এক মহান কবিতা, যা চুয়েট ক্যাম্পাসে উৎপন্ন বর্জ্যের পরিমাণ ও শ্রেণিবিন্যাসের তথ্য উপস্থাপন করে হাজারো শিক্ষার্থীর হৃদয়ে পরিবেশের প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তুলেছে। নিরাপত্তা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আশুতোষ সাহা, আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান ভুঁইয়া, শহীদ আবু সাঈদ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ—প্রত্যেকের স্মিত মুখে লুকিয়ে আছে চুয়েটের সবুজ ভবিষ্যতের অমর স্বপ্ন। এসসিআইপি প্লাস্টিকস প্রজেক্টের বৈজ্ঞানিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, মেডিক্যাল সেন্টারের ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, নিরাপত্তা শাখার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মকবুল হোসেন, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো: জামাল উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ চক্রবর্ত্তী—সকলের উপস্থিতি যেন এক মহান ঐক্যের প্রতীক, যা চুয়েটকে বর্জ্যমুক্ত স্বর্গে রূপান্তরিত করার জন্য একসঙ্গে হাত ধরে দাঁড়িয়েছে, আর তাঁদের চোখে জলের ছোঁয়া যেন পরিবেশের প্রতি অসীম ভালোবাসার সাক্ষ্য।
সভায় ড. ফারজানা রহমান জুথীর উপস্থাপনা যেন এক হৃদয়বিদারক কাহিনি, যা চুয়েট ক্যাম্পাসে উৎপন্ন বর্জ্যের পরিমাণ ও শ্রেণিবিন্যাসের তথ্য উপস্থাপন করে সকলের বুকে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে—যেন প্রতিটি তথ্য বর্জ্যের বিষাক্ততার কান্না, আর সেই কান্না থেকে জন্ম নিচ্ছে এক সবুজ বিপ্লবের স্বপ্ন। সভায় আলোচিত হয়েছে ক্যাম্পাসের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার পাইলট পরিচালনা, বর্জ্যের প্রবাহ, প্রয়োজনীয় বিনের সংখ্যা ও অবস্থান নির্ধারণ, বর্জ্য বিশ্লেষণ ও বাছাইয়ের প্রক্রিয়া—এই সব আলোচনা যেন এক মহান সিদ্ধান্তের জন্ম, যা চুয়েটকে সম্পূর্ণ বর্জ্যমুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। এই সিদ্ধান্ত যেন চুয়েটের প্রতিটি শিক্ষার্থীর হৃদয়ে আশার অমর বীজ বপন করেছে, যা ফুটে উঠবে সবুজের অমর ফুলে, আর ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে দেবে পরিবেশের জয়ের গান। ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম পূর্ণমাত্রায় বাস্তবায়িত হয়ে চুয়েটকে এক সবুজ আদর্শে রূপান্তরিত করবে, যেখানে বর্জ্যের অন্ধকার দূর হয়ে উঠবে সবুজের অমর আলোয়, আর শিক্ষার্থীদের হৃদয় ভরে উঠবে পরিবেশের প্রতি অসীম ভালোবাসায়।
চুয়েটের এই সভা শুধু আলোচনা নয়, এটি এক মহান বিপ্লবের সূচনা—যেখানে প্রতিটি সিদ্ধান্ত যেন এক মায়াময় মায়ের স্পর্শ, যা ক্যাম্পাসের ভবিষ্যতকে আলিঙ্গন করে, পরিবেশের জন্য এক অশ্রুসিক্ত প্রতিজ্ঞা জাগিয়ে তোলে। এই উদ্যোগ যেন চট্টগ্রামের সবুজ হৃদয়ে আলো ছড়ায়, বর্জ্যের অন্ধকার দূর করে সবুজের অমর যাত্রা শুরু করে। চুয়েটের সবুজ স্বপ্ন ফুটুক, পরিবেশের জয়গান চিরকাল বেঁচে থাকুক!

