মাদারীপুরের শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা শ্যামল পান্ডে ও এতিমখানার সুপার মোহাম্মদ আল আমিনের বিরুদ্ধে কোটি টাকার আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা যেন একটা বিষাক্ত ছুরির আঘাত হৃদয়ে—হযরত শাহমাদার দরগাহ শরীফ এতিমখানার নিরীহ এতিমদের জন্য সরকারি বরাদ্দের এক কোটি এক লাখ টাকা, যা গত চার বছরে এতিমদের কল্যাণ ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের স্বপ্ন বোনার জন্য এসেছিল, সেটা আত্মসাতের কালো জালে জড়িয়ে ধুলিসাৎ হয়েছে, যেন একটা মায়ের হাত থেকে ছেলের ভবিষ্যতের দুধ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ার মতো ভয়াবহ! দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ পৌঁছে কয়েক দফা তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেলে দুদকের উপসহকারী পরিচালক শ্যামল চন্দ্র সেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন, যা আইনের দৃষ্টিতে এই দুই অভিযুক্তকে বিচারের মুখোমুখি করে তুলেছে—কিন্তু এই অপরাধের ছায়ায় কত এতিমের চোখে অশ্রু, কত স্বপ্ন ভেঙে পড়েছে এই লোভের তাণ্ডবে!
দুদকের উপপরিচালক মো. আতিকুর রহমানের কণ্ঠে দৃঢ়তার গর্জন, “এতিমদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের এই ঘৃণ্য কাজে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করব, আসামিদের গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা নেব, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপকর্মে হাত দিতে না পারে”—এই প্রতিজ্ঞা যেন একটা আলোর দেওয়াল, যা দুর্নীতির কালো মেঘ ছিন্ন করে নিরীহ এতিমদের হৃদয়ে আশার বীজ বপন করবে। কিন্তু এই মামলা শুধু কাগজের লড়াই নয়, বরং সমাজের হৃদয়ে জ্বলন্ত একটা প্রশ্ন—কবে শেষ হবে এই আত্মসাতের চক্র, যাতে এতিমদের স্বপ্ন আর না হয় লুট হতে পারে এই লোভের নির্মম হাতে? এই অভিযোগের ছায়ায় মাদারীপুরের এতিমখানা যেন একটা ভাঙা মন্দির, যার দেওয়ালে লুকিয়ে আছে অপরাধের রক্তাক্ত দাগ—আইনের হাত এখন দূরে নয়, কিন্তু এতিমদের কান্না কবে মুছে যাবে এই বিশ্বাসঘাতকতার কালো অধ্যায়ে?

