logo
ads

দুর্নীতির অন্ধকার: শিবলী সাদিক ও দেলোয়ারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১০ পি.এম
দুর্নীতির অন্ধকার: শিবলী সাদিক ও দেলোয়ারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ফাইল ছবি

দিনাজপুরের রাজনৈতিক আকাশে বজ্রপাত! সাবেক এমপি শিবলী সাদিক ও তাঁর চাচা, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুটি মামলা যেন জনগণের হৃদয়ে জাগিয়েছে এক মিশ্র অনুভূতি—ক্ষোভের আগুন আর ন্যায়ের অপেক্ষায় অশ্রুসিক্ত আশা। এই মামলা শুধু আইনের অক্ষর নয়, এটি সম্পদের লোভে দুর্নীতির বিষাক্ত জাল ছিন্ন করার এক মহান যুদ্ধ, যা হাজারো সাধারণ মানুষের বুকে জ্বালিয়ে দিয়েছে সততার জয়ের স্বপ্ন। দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. আলম মিয়ার দায়েরকৃত এই মামলাগুলো যেন দিনাজপুরের মাটিতে এক নতুন সকালের প্রতিশ্রুতি, যেখানে অপকর্মের ছায়া দূর হয়ে উঠবে ন্যায়ের আলোয়।

শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ যেন এক কালো অধ্যায়ের উন্মোচন—জ্ঞাত আয় বহির্ভূত প্রায় ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে তাঁর জীবনের সোনালি পর্দা উড়ে গেছে। নবাবগঞ্জের আফতাবগঞ্জে ছয়তলা ভবন, ঢাকার ধানমন্ডিতে ২০২০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, স্বপ্নপুরী বিনোদন পার্কের ৫০% মালিকানা, কক্সবাজারের ঝিলংজায় দুটি ফ্ল্যাট, আর নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুরে ৪৫.৫২ একর জমি—এসব মিলিয়ে তাঁর মোট সম্পদ প্রায় ১৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এই সম্পদ যেন একটি বিষাক্ত ফুল, যা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাটিতে ফুটে উঠেছে, জনগণের স্বপ্নকে ছিন্ন করে দিয়েছে। দুদকের এজাহারে এসবের উল্লেখ যেন শিবলীর রাজনৈতিক জীবনের এক দুঃস্বপ্ন, যা তাঁর সমর্থকদের বুকে ব্যথা এনে দিয়েছে।

অন্যদিকে, দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলাটি যেন পরিবারের অভ্যন্তরীণ বিষের প্রকাশ—জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ। সদরের বালুবাড়িতে পাঁচতলা ভবন, ধানমন্ডিতে ২০৭০ ও ২৭৪৬ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট, মোহাম্মদপুরে ১৪০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, স্বপ্নপুরী পার্কের ৫০% অংশ, আর নবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন থানায় নিজ ও সন্তানদের নামে ২৮.৫১ একর জমি—এসব মিলিয়ে মোট সম্পদ ১৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এই সম্পদের ছায়ায় যেন দেলোয়ারের রাজনৈতিক উত্থানের গৌরব ম্লান হয়ে গেছে, এবং এটি জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতির জন্য এক হৃদয়বিদারক আঘাত।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলমের কণ্ঠে ফুটে উঠেছে দৃঢ়তা, “মামলা দায়ের হয়েছে, পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” এই কথা যেন জনমানুষের বুকে আশার স্ফুলিঙ্গ জ্বালায়, কারণ এই মামলা শুধু দুজনের বিরুদ্ধে নয়, এটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমাজের এক মহান বিজয়ের সূচনা। দিনাজপুরের এই ঘটনা যেন একটি আয়না, যা রাজনীতির অন্ধকার মুখ উন্মোচন করে, সততার পথ দেখায়। ন্যায়ের এই যাত্রা অব্যাহত থাকুক, দুর্নীতির অন্ধকার দূর হোক—জনগণের স্বপ্ন ফুটুক আলোয়!

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ