ঠাকুরগাঁওর মাটিতে আজ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কণ্ঠ যেন এক মায়াময় মায়ের আহ্বান, যা দেশের প্রতিটি হৃদয়ে বিঁধে গেছে—দেশটাকে বাঁচান, আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না! এই কথা শুধু রাজনৈতিক দাবি নয়, এটি এক অশ্রুসিক্ত প্রার্থনা, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য এক মহান স্বপ্নের প্রতিধ্বনি। বুধবার সকালে (১৫ অক্টোবর ২০২৫) ঠাকুরগাঁও সদরের গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর স্কুল মাঠে মতবিনিময় সভায় তাঁর কণ্ঠস্বর কাঁপছিল আবেগে, চোখে জলের ছোঁয়া—যেন তিনি নিজের সন্তানের মতো দেশকে বুকে করে বলছেন, পিআর আমি নিজেই বুঝি না, কিন্তু দেশের একতা, শান্তি আর নির্বাচনের এই স্বপ্নকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিবেন না। গণভোট আর পিআর ছাড়া নির্বাচন হবে না—এই দাবি-দাওয়া ও মিছিলের নামে নির্বাচন ভণ্ডুল করার চেষ্টা যেন দেশের হৃদয়ে ছুরির মতো বিঁধছে, আর ফখরুলের এই আহ্বান যেন সেই ক্ষত মুছে দিয়ে আলোর স্পর্শ রাখছে।
ফখরুলের কণ্ঠে উঠে এলো দেশের প্রতি অসীম ভালোবাসার অশ্রু, যেন তিনি ১৫ বছরের রাজনৈতিক নির্যাতনের স্মৃতি বুকে করে বলছেন, পিআর নিয়ে তর্ক-বিতর্ক পার্লামেন্টে গিয়ে হবে। যে-সব মত দলগুলো একমত সেগুলো জুলাই সনদে সাক্ষর হবে, বাকি মতের জন্য গণভোট হবে। দয়া করে নির্বাচনটা দিয়ে এসব অস্থিরতা কাটান! আর হিংসার রাজনীতি চাই না, হিন্দু-মুসলিমের বিভেদ চাই না—সবাই মিলে শান্তিতে থাকতে চাই। এই কথা যেন ঠাকুরগাঁওর মাটি ছুঁয়ে গেছে, যেখানে ফখরুলের চোখে জলের ছোঁয়া দেখে উপস্থিত হাজারো মানুষের বুক ভার হয়ে উঠেছে, কারণ এটি শুধু রাজনৈতিক আহ্বান নয়, এটি এক মানবিক কান্না, যা দেশের বিভাজিত হৃদয়কে এক করে তুলতে চায়। তাঁর কণ্ঠে ফুটে উঠছে সেই সব স্মৃতি, যেখানে ১১ বার জেল, সাড়ে তিন বছর কারাগার—এসব সহ্য করে তিনি আজও দেশের একতার স্বপ্ন দেখছেন, যেন এক মায়ের বুকের মতো ভালোবাসা ছড়াচ্ছেন চারদিকে।
আর নির্বাচনের প্রসঙ্গে ফখরুলের কথা যেন এক উজ্জ্বল স্বপ্নের চিত্র, যা ভোলার মতো ঠাকুরগাঁওর মানুষের হৃদয়ে আলো জ্বালিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, জনগণ যাকে ভোট দেবে তিনি নির্বাচিত হবেন। আর ভাগাভাগি করবেন না, দেশটার ক্ষতি করবেন না। একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই, সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের মধ্যে থাকতে চাই। এই কথা শুনে সভায় উপস্থিত বিএনপির জেলা সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ নেতাকর্মীদের চোখে জল এসে পড়েছে, কারণ এটি শুধু দাবি নয়, এটি এক মিলনের আহ্বান, যা দেশের বিভাজনের ক্ষতকে সারিয়ে তুলতে চায়। ফখরুলের হৃদয়ে ফুটে উঠছে অতীতের স্মৃতি—যেখানে সরকারে ছিলেন, জানেন কীভাবে দেশ চালাতে হয়। বিএনপি ক্ষমতায় এলে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান, প্রত্যেক পরিবারে ফ্যামিলি কার্ড, স্বাস্থ্য-শিক্ষায় গুরুত্ব, কৃষকদের সর্বোচ্চ মনোযোগ—এই স্বপ্ন যেন ঠাকুরগাঁওর মানুষের বুকে আশার বীজ বপন করেছে, যা ফুটে উঠবে এক নতুন বাংলাদেশের ফুলে।...

