গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণভোট প্রদানসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উত্তাল হয়ে উঠেছে শেরপুর। কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর ২০২৫) শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান রঘুনাথ বাজার/নিউমার্কেটে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শত শত নেতাকর্মী ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে অংশ নেন। বিশাল ব্যানারে লেখা ছিল—“জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, আদেশের মাধ্যমে গণভোট প্রদানসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন।” তারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং তাদের পাঁচ দফা দাবি দ্রুত মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
দেশের বর্তমান সার্বিক সংকট নিরসন এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ অপরিহার্য—এই লক্ষ্যেই জামায়াত এই কর্মসূচি পালন করছে।
মানববন্ধনে বক্তারা তাদের পাঁচ দফা দাবি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন এবং দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শেরপুর জেলা শাখার আমীর মাওলানা হাফিজুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, জনগণের মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সেই সঙ্গে দেশে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াতে ইসলামীর সকল নেতাকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে জেলা শাখার নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল বাতেনসহ শেরপুরের তিনটি আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, গোলাম কিবরিয়া, নুরুজ্জামান বাদল এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা তাদের বক্তব্যে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে অবিলম্বে জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।

