logo
ads

ভোমরা স্থলবন্দর এখন কাস্টমস হাউজ: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

প্রকাশকাল: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২৮ পি.এম
ভোমরা স্থলবন্দর এখন কাস্টমস হাউজ: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান স্থলবন্দর ভোমরা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কাস্টমস হাউজ’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ০৮.০০.০০০০.০২৭.২৮.০৪৩.১৯.৯৭, তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দের মাধ্যমে এ অনুমোদন জারি করা হয়।

এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দেশের কাস্টমস প্রশাসনিক কাঠামোয় নতুন মর্যাদা অর্জন করেছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতি আনবে এবং আঞ্চলিক অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তনের সূচনা করবে।

ভোমরা কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

সংগঠনের সভাপতি মো. আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু মুছা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআর কর্তৃক ভোমরাকে কাস্টমস হাউজ ঘোষণা করায় এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। এটি সরকারের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।”

তারা আরও বলেন, “ভোমরা এখন দেশের অন্যতম ব্যস্ততম স্থলবন্দর। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পরিচালিত হয় এখান দিয়ে। কাস্টমস হাউজ হিসেবে উন্নীত হওয়ার ফলে প্রশাসনিক দক্ষতা, জনবল বৃদ্ধি ও অবকাঠামো উন্নয়ন সম্ভব হবে— যা ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল।”

ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), কাস্টমস বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। তাদের আশা, সরকারের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে ভোমরা কাস্টমস হাউজ অচিরেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হবে এবং জাতীয় রাজস্ব আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বর্তমানে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে খাদ্যপণ্য, নির্মাণসামগ্রী, পোশাক, কসমেটিকসসহ নানা পণ্য আমদানি হয় এবং বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য, মাছ ও শিল্পজাত দ্রব্য রপ্তানি করা হয়।

‘কাস্টমস হাউজ’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ফলে এখন থেকে এখানে পূর্ণাঙ্গ রাজস্ব প্রশাসন, শুল্ক নির্ধারণ, আমদানি-রপ্তানি নথি যাচাইসহ সব কার্যক্রম স্থানীয়ভাবে সম্পন্ন হবে। এতে সময়, খরচ ও প্রশাসনিক জটিলতা কমে যাবে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য বড় স্বস্তি এনে দেবে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ সরকারের এই সিদ্ধান্তে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের বিশ্বাস— এই ঘোষণা শুধু ভোমরার নয়, গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতির চিত্রই পাল্টে দেবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ