logo
ads

নেওয়াশী-সন্তোষপুরে বিএনপির গণসংযোগ: ঐক্যের আলোয় জনসম্পৃক্ততার ঢেউ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৩ এ.এম
নেওয়াশী-সন্তোষপুরে বিএনপির গণসংযোগ: ঐক্যের আলোয় জনসম্পৃক্ততার ঢেউ

বর্তমান বাংলা

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার গাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার অন্ধকার যেন এক মুহূর্তে আলোয় মুখরিত হয়ে উঠলো—নেওয়াশী ও সন্তোষপুর ইউনিয়ন বিএনপির যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠলো এক বিশাল গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা। সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হয়ে যেন একটি নদীর মতো বয়ে গেল জনসমুদ্র, যেখানে স্থানীয় নেতা-কর্মী, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির প্রতিনিধিরা, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের তরুণ হৃদয়গুলো মিলে গড়লো এক অটুট বাঁধ। এ যেন একটি উজ্জ্বল মশালের আলোয় জ্বলে উঠলো দলের ঐক্যের স্বপ্ন, যা চরাঞ্চলের ধুলোমাখা পথ থেকে শুরু করে জাতীয় আন্দোলনের মহাসমুদ্র পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। স্লোগানের প্রতিধ্বনি— “গণতন্ত্র মুক্তি পাক”, “খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই”, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি”— যেন বাতাসে ভেসে গেল আশার ঢেউ তুলে, হাজারো বুকে জাগিয়ে তুললো পরিবর্তনের অদম্য আকাঙ্ক্ষা।

সভার সভাপতিত্ব করলেন নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. নুরুল আমিন সিদ্দিকী, যাঁর দৃঢ় কণ্ঠ যেন একটি অটল ভিত্তির মতো সবাইকে একত্রিত করলো, আর সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহফুজার রহমান আপেল—তাঁর উদ্দীপক কথায় যেন সভাটি এক জীবন্ত উৎসবে রূপান্তরিত হয়ে উঠলো। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সদস্য ও তরুণ সংগঠক ডা. ইউনুছের আগমন যেন একটি উষ্ণ আলিঙ্গনের মতো, যা সকলকে জড়িয়ে ধরলো আশার বাহুতে। প্রধান বক্তা আলহাজ্ব শফিউল আলম শফি, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, তাঁর কথায় যেন একটি তীক্ষ্ণ তীর ছুড়লেন অন্ধকারের দিকে। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব মোখলেছুর রহমান, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ওমর ফারুক, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক দুদু, নাজির হোসেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ হোসেন আপেল, উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. জাহিদুল ইসলাম খান, ইব্রাহিম আলী, জাহাঙ্গীর বাদশা টুটুলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ—তাঁদের উপস্থিতি যেন একটি বিশাল গাছের শাখাপ্রশাখা, যা দলের শিকড়কে আরও গভীর করে তুললো।

ডা. ইউনুছের বক্তব্য যেন একটি হৃদয়স্পর্শী গানের সুরে বাজলো সভার মাঝে—তিনি বললেন, “রাজনীতি মানে ক্ষমতার লড়াই নয়, রাজনীতি মানে জনগণের পাশে থাকা। আমি যেদিন জনগণের আস্থা হারাবো, সেদিন রাজনীতি করা ছেড়ে দেবো।” তাঁর চোখে জ্বলজ্বল করছিল নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারীর প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, যেন একটি মায়ের বুকের উষ্ণতা—যাতে কেউ বঞ্চিত না হয় উন্নয়ন ও ন্যায়ের আলোয়। তিনি আরও বললেন, “বিএনপি জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সংগ্রাম করছে। দেশের প্রতিটি মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। আমাদের এই গণসংযোগের উদ্দেশ্য—সেই পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছে দেওয়া।” এই কথাগুলো যেন একটি বিদ্যুৎস্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়লো, শিক্ষার্থীদের বুকে জাগিয়ে তুললো লড়াইয়ের আগুন, আর বয়স্কদের চোখে জমিয়ে দিলো আশার অশ্রু।

প্রধান বক্তা আলহাজ্ব শফিউল আলম শফির কণ্ঠে ছিল দৃঢ়তার ঝড়—তিনি বললেন, “বিএনপি আজ গণমানুষের দল। নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য ও সততা বজায় রাখতে পারলেই আসন্ন আন্দোলন সফল হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।” তাঁর কথায় যেন একটি চ্যালেঞ্জের ঢাক বাজলো, যা দলের ভিতরের দুর্বলতাকে চ্যালেঞ্জ করে ঐক্যের শক্তিতে রূপান্তরিত করবে। তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, “রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়লে দল প্রাণ ফিরে পায়। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসুক।” এই আহ্বান যেন একটি বীজের মতো, যা তরুণ হৃদয়গুলোতে বপন হয়ে গাছ হয়ে উঠবে আন্দোলনের ছায়ায়।

স্থানীয় নেতাদের বক্তব্যগুলো যেন একটি মালার মতো গেঁথে গেল সভার হৃদয়ে—উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব মোখলেছুর রহমান বললেন, “চরাঞ্চলের মানুষের দুর্দশা শুধু সরকারি ব্যর্থতার ফল নয়, এটা গণতন্ত্রহীনতার ফল। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করলেই এই অবস্থা বদলাবে।” তাঁর কথায় ছিল একটি তীব্র অনুভূতির ঢেউ, যা চরাঞ্চলের ধুলোমাখা পথের কষ্টকে ছুঁয়ে গেল আশার আলোয়। মো. ওমর ফারুক তাঁর বক্তব্যে বললেন, কৃষক যেমন ফসলের হার বৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন ফসল ও উন্নত বীজ বপন করেন, তেমনি নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে উত্তর ধরলার রাজনীতির মাঠ উর্বর হয়ে উঠবে—এ যেন একটি কৃষকের হাতের মাটির স্পর্শ, যা রাজনীতিকে জীবন্ত করে তুলবে। আশরাফ হোসেন আপেল নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে কাজ করার আহ্বান জানালেন, যেন একটি দলবদ্ধ সৈন্যের মতো এগিয়ে চলুন সকলে। আর জাহিদুল ইসলাম খান বললেন, “বিএনপির রাজনীতি এখন জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। গ্রামেগঞ্জে মানুষ আবার বিএনপির পতাকা দেখতে চায়।” এই কথাগুলো যেন একটি বিজয়ের ঢাকের শব্দ, যা গ্রামের প্রতিটি ঘরে প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠলো।

সভা শেষে নেতা-কর্মীরা আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি ও দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করলেন—যেন একটি অটুট শপথ, যা দলকে নতুন করে গড়বে। এই গণসংযোগ কেবল একটি সভা নয়, এটি একটি হৃদয়ের মিলন, যা নেওয়াশী ও সন্তোষপুরের মাটি থেকে ছড়িয়ে পড়বে চরাঞ্চলের প্রতিটি কোণে। ঐক্যের এই শক্তি যেন একটি উজ্জ্বল তারা, যা আন্দোলনের আকাশে জ্বলজ্বল করে উঠবে, জনগণের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়ে—কারণ, বিএনপির এই বার্তা শুধু রাজনীতি নয়, এটি জীবনের আলো জ্বালানোর অঙ্গীকার!

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ