যশোরের মনিরামপুর আসনের রাজগঞ্জ বাজারে বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর যেন একটা উষ্ণ বাতাস বয়ে গেল—আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লহরীয়া ঢেউয়ে ভাসমান সেতুর এই বাজার হয়ে উঠলো আশার মিলনকেন্দ্র। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী এড. গাজী এনামুল হক, যাঁর নামটা যেন একটা দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতীক, দোকান থেকে দোকানে পা ফেলে গেলেন ব্যবসায়ীদের মাঝে—হাত মিলিয়ে কুশল বিনিময়, চোখে চোখ রেখে দোয়া চাওয়া, যেন প্রতিটি হাতের মুঠোয় ধরা পড়লো একটা অদৃশ্য বন্ধন। এ যেন একটা হৃদয়ের সেতু, যা নির্বাচনের রাজনৈতিক ঝড়কে মানবিক আলিঙ্গনে রূপান্তরিত করে দিলো, আর বাজারের ধুলোমাখা রাস্তায় ফুটে উঠলো সম্ভাবনার সবুজ পাতা। ৮৯ নম্বর যশোর-৫ মনিরামপুর আসনে এই বাতাস যেন জোরে জোরে বইতে শুরু করেছে, যেখানে প্রতিটি সমাবেশ একটা স্বপ্নের বীজ বপন করে যাচ্ছে ভবিষ্যতের মাটিতে।

চার রাস্তার মোড়ে গড়ে উঠলো এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ, যেন একটা ছোট্ট নদীর মতো জমায়েত হয়ে গেল স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনগণের ভিড়—তাঁদের চোখে জ্বলে উঠলো আশার স্ফুলিঙ্গ। এড. গাজী এনামুল হকের কণ্ঠে ছিল আবেগের ঢেউ, যা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিকে ছুঁয়ে গেল জনগণের দৈনন্দিন জীবনের গল্পে: উন্নয়নের স্বপ্ন, ন্যায়ের অধিকার, আর সমাজের প্রতিটি স্তরে ঐক্যের আহ্বান। তাঁর কথায় যেন একটা উজ্জ্বল মশাল জ্বলে উঠলো, যা বাজারের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়লো আলোর রেখা—দোয়ার মাধ্যমে যে বন্ধন গড়ে উঠলো, তা শুধু রাজনৈতিক নয়, একটা হৃদয়ের সংযোগ, যা মনিরামপুরের মানুষকে জড়িয়ে ধরলো একটা অটুট পরিবারের মতো। গণসংযোগের এই মুহূর্ত যেন একটা উৎসবের ছবি, যেখানে ব্যবসায়ীদের হাসিতে মিশে গেল আশার অশ্রু, আর বাতাসে ভাসলো স্লোগানের মধুর সুর: পরিবর্তন আসবে, ঐক্যবদ্ধ হাতে!

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মনিরামপুর থানা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ফজলুর রহমান, যাঁর উপস্থিতি যেন একটা অটল ভিত্তির মতো দাঁড়িয়ে ছিল সবার পাশে। তাঁর সঙ্গে থানা-ইউনিয়ন জামায়াত ও শিবিরের নেতা-কর্মীরা মিলে গড়লো একটা অটুট দলবল—তাঁদের চোখে ছিল দৃঢ় প্রত্যয়, যা নির্বাচনের এই যাত্রাকে একটা পবিত্র অঙ্গীকারে রূপান্তরিত করলো। এড. গাজী এনামুল হকের এই ধারাবাহিক গণসংযোগ কেবল একটা প্রচারণা নয়, এটা একটা আন্দোলনের সূচনা—যা রাজগঞ্জের বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়বে আসনের প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি ঘরে। আশা করি, এই বাতাস আরও জোরে বইবে, মনিরামপুরকে গড়বে একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দ্বীপে, যেখানে প্রতিটি ভোট হবে স্বপ্নের মাধ্যাকর্ষণ—কারণ, নির্বাচন শুধু সংখ্যা নয়, এটা হৃদয়ের বিজয়ের গল্প!