রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বৃহস্পতিবার দুপুরের গরম বাতাসে যেন একটা অন্ধকার ছায়া ঘনিয়ে এসেছে—দুবাই প্রবাসী মোঃ শাহিন সরদারের (৪২) জীবনের সোনালি স্বপ্নকে ছিন্নভিন্ন করতে চাইছে এক মিথ্যা অভিযোগের নির্মম জাল, যা তার ছেলের ভবিষ্যতকেও কালো করে দিতে প্রস্তুত। গোয়ালন্দ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ময়ছের মাতুব্বর পাড়ার এই বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সরদারের ছেলে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে দুবাইয়ে সুনামের সঙ্গে পরিবহন ব্যবসা চালিয়ে আসছেন, আজ তার পরিবার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন একটা হৃদয়বিদারক লড়াইয়ে—মুনিয়া বেগম নামে এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর হাতে বুনোনো এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন যেন একটা বিদ্যুৎস্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলে উঠলো, প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে। এ যেন একটা প্রবাসীর কান্নার গল্প, যা গোয়ালন্দের মাটিকে নাড়িয়ে দিয়েছে, আর সমাজকে জিজ্ঞাসা করছে: কখন পরিণত হবে এই হয়রানির অন্ধকার একটা আলোর সূর্যোদয়ে, যাতে নির্দোষ প্রবাসীরা নিরাপদে স্বপ্ন বুনতে পারেন?
সম্মেলনে শাহিন সরদারের লিখিত বক্তব্য যেন একটা তীক্ষ্ণ ছুরির ফলা, যা মিথ্যার জাল ছিঁড়ে ফেললো সত্যের আলোয়—তিনি বললেন, মুনিয়া বেগম তার কাছ থেকে ৭ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা নিয়ে বিনা দোষে থানায় অভিযোগ দিয়েছে, তার ছেলেকে জড়িয়ে একটা বানোয়াট গল্প বুনেছে যাতে তাকে চিত্রিত করা হয়েছে একটা প্রতারক হিসেবে। মুনিয়া, যিনি ৪ নং ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লা পাড়ার বাসিন্দা এবং পুলিশের সোর্স আব্দুর রশিদ শেখের স্ত্রী, তার অভিযোগে বলেছে যে তার ছেলে রোহিত মাহমুদ (মুন্না) ১ জুন ২০২৫ দুবাই যায়, ৩ মাস পর অবৈধ নাগরিক হিসেবে গ্রেফতার হয়, আর শাহিন তার ছেলের মাধ্যমে ৮ লক্ষ টাকা দাবি করে ৭ লক্ষ ৭৬ হাজার নিয়ে নিয়েছে। এমনকি বলেছে, ছেলে ৫ মাস জেলে থেকে দেশে ফিরে সব সত্য খুলে বলেছে। কিন্তু এই গল্পের প্রতিটি অংশ যেন একটা ছলনার মাকড়সার জাল—শাহিন বলছেন, এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা; তাঁর কোনো জানাশোনা ছিল না এই ঘটনার, আর রোহিত আসলে ৩০০ গ্রাম গাঁজা ও আইসের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে, তার ২০২৬ সালের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত বৈধ ভিসা আছে, আর সে এখনও দুবাইয়ে আটকা আছে মামলার জন্য, দেশে ফেরেনি। সব কাগজপত্র তাঁর কাছে রয়েছে, যেন একটা অটুট প্রমাণের দুর্গ যা মিথ্যাকে চ্যালেঞ্জ করছে।
শাহিনের কণ্ঠে ছিল বেদনার ঢেউ, যা প্রবাসীর জীবনের কষ্টকে ছুঁয়ে গেল আশার রেখায়—তিনি বললেন, এলাকার ছেলে হিসেবে বাবা-মায়ের অনুরোধে রোহিতকে জেল থেকে ছাড়াতে সাহায্য করেছেন, নিজের সময়, শ্রম আর ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ করে, কিন্তু কোনো টাকা নেননি। কিন্তু এই সাহায্যের বিনিময়ে পেয়েছেন হয়রানির বিষাক্ত তীর—মুনিয়া ও তার স্বামী পাওনা না দেওয়ার ভয়ে তাঁর ও বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া একমাত্র ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, এমনকি একটা অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে দিয়েছে। এর তীব্র নিন্দা করে তিনি প্রতিবাদ জানালেন, আর পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করলেন সঠিক তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে, পাওনা টাকা ফেরত দিতে—যেন একটা অশ্রুর ফোঁটা হয়ে ঝরছে এই আহ্বান, যা গোয়ালন্দের মানুষের বুকে জাগিয়ে তুলছে ন্যায়ের অদম্য আকাঙ্ক্ষা।
সম্মেলনে উপস্থিত শাহিনের মা বেবী আক্তার, ছেলে রোহান মাহমুদ, স্ত্রী মরিয়ম বেগমের চোখে ছিল অশ্রুর ঝিলিক—প্রবাসীর এই পরিবার যেন একটা ভাঙা নৌকার মতো দাঁড়িয়ে আছে ঝড়ের মাঝে, কিন্তু তাঁদের হাতে ধরা আছে সত্যের মশাল। এই প্রতিবাদ যেন একটা বিজয়ের ঢাকের শব্দ, যা গোয়ালন্দ সাংবাদিক ফোরামের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়বে, হয়রানির অন্ধকারকে ছিন্নভিন্ন করে ন্যায়ের আলো জ্বালিয়ে দেবে। আশা করি, এই লড়াই থেকে উঠে আসবে একটা উজ্জ্বল পরিণতি, যাতে প্রবাসীরা নিরাপদে স্বপ্ন বুনতে পারেন, আর মিথ্যার জাল আর কোনো হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করতে না পারে—কারণ, সত্যের শক্তি যেন একটা অটুট দুর্গ, যা চিরকাল জয়ী হয়ে থাকে!

