logo
ads

ঝিনাইদহের রাস্তায় গলা কেটে ভ্যান লুট, আসামিরা আটক

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১১ এ.এম
ঝিনাইদহের  রাস্তায় গলা কেটে ভ্যান লুট, আসামিরা আটক

বর্তমান বাংলা

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর থেকে চতুরপুরের পাকা রাস্তায় ৯ অক্টোবর দিনের বেলার সূর্যের আলো যেন এক মুহূর্তে রক্তের লালে রাঙিয়ে উঠলো—ধারালো ছুরির ঝলকানিতে জাহিদুল ইসলামের (১৯) গলায় গভীর ক্ষত, যা তার সেই উজ্জ্বল যৌবনকে প্রায় ছিন্নভিন্ন করে দিতে চাইলো, আর তার কাছে থাকা পাখি ভ্যানটা ছিনতাই করে নিয়ে গেল দুর্বৃত্তদের অন্ধকার ছায়া। এ যেন একটা নির্মম রূপকথার মতো, যেখানে এক যুবকের স্বপ্নের যানটা হয়ে উঠলো লুটের শিকার, আর রক্তের ঝরণে ভিজে গেল রাস্তার ধুলো—প্রতিটি ফোঁটা যেন চিৎকার করছে ন্যায়ের জন্য, যা গ্রামের প্রতিটি হৃদয়কে ছুঁয়ে গেল বেদনার ঢেউ তুলে। কিন্তু এই অন্ধকারের মাঝেও জ্বলে উঠলো পুলিশের দৃঢ়তার মশাল, যা চক্রান্তের জাল ছিঁড়ে ফেলে আটক করলো ছিনতাইকারীদের, আর ভ্যানটা ফিরিয়ে আনলো নির্দোষ যুবকের হাতে—এ যেন একটা বিজয়ের গান, যা অপরাধের অন্ধকারকে চ্যালেঞ্জ করে আলোর পথ দেখালো।

ঘটনার পর সেই দিনই জাহিদুলের ভাই সাইদুর রহমানের মামলা (নং-২) যেন একটা অটুট অস্ত্র হয়ে উঠলো কোটচাঁদপুর মডেল থানার হাতে—ওসি তদন্ত এনায়েত আলী খন্দকারের নেতৃত্বে চৌকশ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৫ অক্টোবর কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করলো প্রধান আসামী সবুজ হোসেনকে (২৭), যিনি মহেশপুরের বজ্রাপুর গ্রামের সুলতানের ছেলে। তার স্বীকারোক্তি যেন একটা চাবির মতো খুলে দিলো ছিনতাই চক্রের দরজা—হাত বদল হয়ে তিনবার বিক্রি হয়েছে ভ্যানটা, প্রথমে ১০ হাজার টাকায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনার সোনা মিয়ার কাছে, যাকে পুলিশ গ্রেফতার করে; তারপর সোনার তথ্যে সুমন হোসেনকে ১৭ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রির খবর, আর সুমনের স্বীকারোক্তিতে আক্তার হোসেনকে ২৪ হাজারে বিক্রির চেইন। এই চক্রান্তের জাল যেন একটা মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে ছিল, কিন্তু পুলিশের অটল দৃঢ়তা সেটাকে ছিন্নভিন্ন করে দিলো—দর্শনা থানাধীন দোস্ত আমতলা গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে ভ্যানটা, যেন একটা হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন ফিরে এসেছে তার মালিকের কাছে।

কোটচাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কবীর হোসেন মাতুব্বরের কণ্ঠে ছিল বিজয়ের গর্ব—তিনি বললেন, আটককৃত আসামীদের বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ আদালতে পাঠানো হয়েছে, আর এই অভিযান যেন একটা আশার রশ্মির মতো জ্বলে উঠলো জাহিদুলের চোখে, যার গলার ক্ষত এখনও ব্যথায় কাঁপছে, কিন্তু হৃদয়ে ফুটে উঠছে ন্যায়ের স্বাদ। এই ঘটনা যেন একটা সতর্কবাণীর ঢাক, যা গ্রামের রাস্তাগুলোকে জাগিয়ে তুলছে—ছিনতাইয়ের অন্ধকার কোথায় নিয়ে যাবে আমাদের যুবকদের? কিন্তু পুলিশের এই দক্ষতা যেন একটা উজ্জ্বল আলোর ফুল, যা অপরাধের জালকে ছিঁড়ে ফেলে নিরাপত্তার ছায়া বিস্তার করবে। আশা করি, এই লড়াই থেকে উঠে আসবে একটা নতুন অধ্যায়, যেখানে কোনো যুবকের গলায় ছুরির ছায়া পড়বে না, আর রাস্তার ধুলোয় রক্তের ফোঁটা না ঝরে—কারণ, ন্যায়ের শক্তি যেন একটা অটুট দুর্গ, যা চিরকাল জয়ী হয়ে থাকে!

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ