logo
ads

আমতলীতে চুরির তাণ্ডব!

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৫ এ.এম
আমতলীতে চুরির তাণ্ডব!

বর্তমান বাংলা

বরগুনার আমতলীতে আইনের প্রতি নির্মম উপেক্ষা! পৌরসভার মহিলা কলেজ রোডে ব্র্যাক অফিসের পাশে ওয়ারিশান সম্পত্তির নির্মাণাধীন ঘর থেকে কাঠ, টিন ও মূল্যবান নির্মাণসামগ্রী চুরির ঘটনায় এলাকায় উত্তপ্ত উত্তেজনা। আদালতের চলমান নিষেধাজ্ঞা (মামলা নং ১৯৩/২০১০) পদদলিত করে এই লজ্জাজনক কাণ্ডের জন্য সম্পত্তির দাবিদার হারুন অর রশিদ ও মমতাজ বেগম তাদের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে হানিফাকে অভিযুক্ত করেছেন। তারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে বলেন, বিরোধী ওয়ারিশ দেলোয়ার ও পান্না হাওলাদারের ইন্ধনে হানিফা এই নীচ কাজে লিপ্ত হয়েছে। সরেজমিনে হানিফার নির্মাণাধীন ঘরে চুরি যাওয়া মালামালের সঙ্গে মিলে যাওয়া কাঠ ও টিনের আলামত পাওয়ায় অভিযোগের আগুনে ঘি পড়েছে।

স্থানীয় দর্জি রাসেলের চোখে ধরা পড়েছে ভোরের ম্লান আলোয় হানিফার সন্দেহজনক ছায়া, মাথায় কাঠের বোঝা নিয়ে দ্রুত পালানোর দৃশ্য। স্যানিটারি ব্যবসায়ী মতিন খানের বিস্ফোরক সাক্ষ্য, হানিফা তার দোকানের পেছনে চুরি যাওয়া তক্তা লুকানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ধরা পড়ে তড়িঘড়ি সরিয়ে নেয়। মমতাজ বেগমের কণ্ঠে তীব্র আক্রোশ, “আদালতের আদেশকে ধূলিসাৎ করে আমাদের স্বপ্নের ঘর ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এই চুরি শুধু মালামালের নয়, আমাদের বিশ্বাসের প্রতি আঘাত!” তিনি ঘোষণা করেন, সাক্ষী-প্রমাণসহ আদালতে এই অনাচারের জবাব দাবি করবেন।

এই ঘটনা আমতলীতে শুধু চুরির গল্প নয়, আইনের প্রতি নির্লজ্জ চ্যালেঞ্জের কালো অধ্যায়। স্থানীয়দের মনে জ্বলছে একটাই প্রশ্ন—এমন দুঃসাহস কার সাধ্য থামায়? হারুন ও মমতাজের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, আদালতে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের প্রমাণ তুলে ধরে ন্যায়ের লড়াই চালিয়ে যাবেন। আমতলী এখন কেবল বিরোধের কেন্দ্র নয়, সত্য ও সুবিচারের জন্য এক জ্বলন্ত ক্ষেত্র!

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ