যশোরের মনিরামপুরে শীতের কনকনে হাওয়ায় যেন একটা অন্ধকারের পর্দা নেমে এসেছিল এতিম ও দুস্থদের জীবনে, কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেলে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন ফিউচার ওয়ার্ল্ডের হাত বাড়িয়ে দিয়ে সেই অন্ধকার ছিন্ন হয়েছে আলোর ঝলকানিতে! ১৩ নং খানপুর ইউনিয়নের মুন্সী খানপুর গ্রামে মোট ৩৭০ জন এতিম ও দুস্থ পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রীর বিতরণ যেন একটা মায়ের কোলের মতো উষ্ণতা ছড়িয়েছে—কল্পনা করুন, একটা ছোট্ট এতিমের হাতে শীতবস্ত্রের স্পর্শ, যেন শীতের ঝড়ের মাঝে ফুটে উঠেছে বসন্তের প্রথম ফুল! এই মানবিক উদ্যোগ যেন একটা বিজয়ের গান, যা দুস্থদের হৃদয়ে আশার বীজ বপন করেছে, আর সমাজের সচেতনতাকে জাগিয়ে তুলেছে এমন সাহায্যের জন্য।
প্রধান অতিথি মনিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মজনুর রহমানের হাতে ২০ জন এতিমের শীতবস্ত্র এবং ৩৫০ জন দুস্থের উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া যেন একটা পবিত্র অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছে, যেখানে প্রত্যেকটা হাসি ছিল কৃতজ্ঞতার প্রতিফলন। দৈনিক সংগ্রামের মনিরামপুর প্রতিনিধি নিছার উদ্দিন খান আযমের উপস্থিতি যেন সত্যের সাক্ষ্য বহন করেছে, আর ফিউচার ওয়ার্ল্ডের মনিরামপুর সার্ভিস সেন্টারের সিনিয়র ম্যানেজার ফরহাদ হোসেন রাজুর নেতৃত্ব যেন একটা দৃঢ় সেতুর মতো যুক্ত করেছে দূরবর্তী সাহায্যের হাত স্থানীয় মাটির সাথে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাক্ষিত্বে এই বিতরণ যেন একটা সম্প্রদায়ের উৎসব, যা শুধু শারীরিক উষ্ণতা নয়, মানসিক শক্তিরও উৎস হয়ে উঠেছে—যেন একটা অন্ধকার রাতের পর ভোরের আলো ফুটে উঠেছে এই দুস্থদের জীবনে।
ফিউচার ওয়ার্ল্ডের এই উদ্যোগ যেন একটা আলোর ফুলকি, যা শীতের অন্ধকার ছাপিয়ে দিয়ে মনিরামপুরের গ্রামকে করে তুলেছে আশার উদ্যান—এমন সাহায্যের হাত যেন ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র, যাতে কোনো এতিম আর শীতের কামড়ে কাঁপতে না হয়, আর দুস্থদের চোখে জ্বলে উঠুক স্বপ্নের তারা। এই অনুষ্ঠান শুধু বিতরণ নয়, মানবতার বিজয়ের প্রতীক, যা আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করবে এমন কর্মে যোগ দিতে।

