logo
ads

পদ্মার বুকে নিষেধাজ্ঞার কান্না, ইলিশের হাটে অন্ধকারের ছায়া!

শিবচর প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০১ পি.এম
পদ্মার বুকে নিষেধাজ্ঞার কান্না, ইলিশের হাটে অন্ধকারের ছায়া!

বর্তমান বাংলা

পদ্মার শান্ত জলের গভীরে যেন মা ইলিশের হৃদয় কাঁদছে—সরকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পবিত্র প্রতিজ্ঞা মাদারীপুরের শিবচরে অসাধু জেলেদের হাতে ছিন্নভিন্ন হচ্ছে, যেন একটা মায়ের স্নেহের আঁচল ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে! রাতের অন্ধকারে জাল ফেলে, দিনের আলোয় বন্দরখোলা, মাদবরেরচর, চরজানাজাত ও কাঁঠালবাড়ির চরাঞ্চলে গোপন হাটে ইলিশ বিক্রির রমরমা বাজার যেন পদ্মার বুকের উপর একটা কালো দাগ! এই অস্থায়ী হাটে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় যেন একটা নিষিদ্ধ উৎসব, যেখানে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছে সস্তার ইলিশের লোভে, ভুলে যাচ্ছে মা ইলিশের জীবন রক্ষার পবিত্র আহ্বান—কল্পনা করুন, প্রতিটি জালের ফাঁসে আটকে পড়া ইলিশ যেন একটি মায়ের কান্না, যার সন্তানের ভবিষ্যৎ লুট হচ্ছে অন্ধ লোভের তাণ্ডবে!

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ. এম. ইবনে মিজানের কণ্ঠে হতাশার ছায়া, “আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি, কিন্তু জেলেদের সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ আর জনবলের সংকটে যেন আমাদের হাত বাঁধা—কখনো হামলার শিকারও হতে হচ্ছে!” গত ১০ দিনে ৪ লাখ ১৪ হাজার মিটার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ফেলা, ২৪ জন জেলেকে কারাদণ্ড আর ২৩ জনের ২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা যেন একটা দৃঢ় চেষ্টা, কিন্তু পদ্মার জলে এই প্রতিরোধ যেন বালির উপর লেখা অক্ষর, যা জেলেদের দুঃসাহসে মুছে যাচ্ছে! উদ্ধারকৃত ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ হলেও, নদীর বুকে শিকার অব্যাহত, যেন প্রকৃতির বিরুদ্ধে একটা নির্মম যুদ্ধ চলছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কাজিরসূরা ঘাটে দেখা গেছে ট্রলার থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নামছে, পাইকারদের হাতে বড় ইলিশ কেজি ১,২০০-১,৬০০ টাকায় আর ছোট ইলিশ ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে—এই হাট যেন একটা গোপন ষড়যন্ত্রের মঞ্চ, যেখানে মা ইলিশের জীবন মূল্য হারাচ্ছে সস্তার লোভে।

স্থানীয়দের কথায় ফুটে উঠেছে অসহায়তার ছবি—প্রশাসনের অভিযানের খবর পেয়েই জেলেরা কাশবনে বা নদীর মাঝখানে লুকিয়ে পড়ে, যেন ছায়ার মতো অদৃশ্য হয়ে যায়! ভদ্রাসন থেকে আসা ক্রেতা মিজানুর রহমানের কথায় লোভের সুর, “ইলিশ এখন অর্ধেক দামে, তাই নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এসেছি!” এক জেলের নামহীন কণ্ঠে কষ্টের আর্তি, “মাছ না ধরলে সংসার চলে না, নদীতে প্রচুর মাছ, বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ কেজি একসঙ্গে!” উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদারের কথায় অসহায়ত্ব, “জনবল কম, তাই শতভাগ সফলতা আসছে না, তবু অভিযান চলছে।” ইউএনও ইবনে মিজানের ঘোষণা যেন একটা আশার আলো—“সেনাবাহিনীর সাথে যৌথ অভিযানের প্রস্তুতি চলছে, এই অবৈধ হাট বন্ধ হবে!” কিন্তু পদ্মার বুকে এই অবৈধ শিকার আর গোপন বেচাকেনা যেন একটা কালো মেঘ, যা মা ইলিশ সংরক্ষণের স্বপ্নকে গ্রাস করছে—এই অন্ধকার কবে মুছে যাবে, যাতে পদ্মার জল আবার হাসে মা ইলিশের স্নেহে?

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ