logo
ads

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উচ্ছেদের তাণ্ডবে ব্যবসায়ীদের কান্নার মানববন্ধন!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৬ পি.এম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উচ্ছেদের তাণ্ডবে ব্যবসায়ীদের কান্নার মানববন্ধন!

বর্তমান বাংলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরকারি মহিলা কলেজ মার্কেটে যেন একটা নিষ্ঠুর ঝড় বয়ে গেছে—৪২ বছরের বৈধ চুক্তির দোকানগুলো বিনা নোটিশে উচ্ছেদের তরবারির নিচে পড়ে ছিন্নভিন্ন হয়েছে, আর এর প্রতিবাদে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেসক্লাবের সামনে ঔষুধ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল যেন একটা ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের আর্তনাদ! এই মানববন্ধন যেন একটা ভাঙা স্বপ্নের শৃঙ্খল, যেখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতাকর্মীসহ জেলার সকল ঔষুধ ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে তাদের জীবিকার অধিকারের জন্য কান্নার সুরে কথা বলেছেন—কল্পনা করুন, একটা পরিবারের সন্তানের পড়াশোনা, মায়ের ওষুধ, আর বাবার স্বপ্ন যেন এই দোকানের শাটারে বন্দী ছিল, আর তা হঠাৎ উচ্ছেদের নির্মম হাতে ধুলোয় মিশে গেছে! মাওলানা কুতুব উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং নূর আলমের সঞ্চালনায় এই মানববন্ধন যেন একটা প্রতিজ্ঞার আগুন, যা জ্বলে উঠেছে ন্যায়ের জন্য।

বক্তাদের কণ্ঠে ফুটে উঠেছে অসহায়তার বেদনা—খোকন খান, মো. সানাউল হক ভূইয়া, এবং এইচ. এম. মুরাদের কথায় মিশে আছে ১৯৮৪ সালের সেই চুক্তির গল্প, যখন ২৮ হাজার টাকার বিনিময়ে মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে বৈধ চুক্তি হয়েছিল, যেন একটা পবিত্র বন্ধন! এই দোকানগুলো শুধু ব্যবসার জায়গা নয়, বরং ৪২ বছর ধরে পরিবারের ভরণপোষণের একমাত্র ভরসা, যেখান থেকে সন্তানদের পড়াশোনার আলো এসেছে, আর জীবনের সংগ্রাম জয় করা গেছে। কিন্তু গত দুই মাস ধরে ভাড়া নেওয়া বন্ধ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ যেন একটা ছলনার জাল বুনেছে—ব্যবসায়ীরা ভেবেছিলেন দুই মাস পরপর ভাড়া নেওয়ার রীতি, কিন্তু হঠাৎ উচ্ছেদের নির্দেশ যেন একটা বজ্রপাত, যা তাদের স্বপ্নের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে! বক্তারা বলেন, “চুক্তি অনুযায়ী ছয় মাসের নোটিশ ছিল আমাদের অধিকার, কিন্তু এই অমানবিক উচ্ছেদ আমাদের জীবিকাকে গ্রাস করেছে—এটা অবৈধ, এটা অন্যায়!” মানববন্ধন শেষে হাসপাতাল সড়কসহ বিভিন্ন পথে বিক্ষোভ মিছিল যেন একটা ক্ষোভের ঢেউ, যা শহরের রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছে ন্যায়ের দাবিতে।

এই ঔষুধ ব্যবসায়ীদের কান্না যেন শুধু তাদের নয়, বরং প্রতিটি কষ্টের জীবনের প্রতিধ্বনি—তারা দাবি করেছেন অবিলম্বে উচ্ছেদ বন্ধ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়সঙ্গত সমাধান দিতে, নইলে জেলার সকল ফার্মেসি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেন একটা ঝড়ের পূর্বাভাস! গত বৃহস্পতিবার কলেজের অধ্যক্ষকে বিবাদী করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এই লড়াই এখন শুধু কাগজের নয়, বরং হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসা একটা আর্তনাদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই মানববন্ধন যেন একটা জ্বলন্ত প্রতিজ্ঞা, যা বলছে—ন্যায়ের পথে ব্যবসায়ীদের এই কষ্টের কান্না মুছে যাবে না, যতক্ষণ না তাদের জীবিকার অধিকার ফিরে আসে! এই মিছিল শুধু রাস্তায় নয়, প্রতিটি সচেতন মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে যাক, যেন এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাগে একটা নতুন ভোর!

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ