ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জিয়া সাইবার ফোর্সের আলোচনা সভায় অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামানের কণ্ঠ যেন একটা বিষাক্ত ছুরির আঘাত—গত ১৬/১৭ বছরে বাংলাদেশ থেকে ২৪০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে, যা প্রতি বছর ১৬ বিলিয়ন ডলারের লুটের অন্ধকার, ২১ লক্ষ কোটি টাকার কালো ছায়া, যা দেশের তিন বছরের বাজেটের সমান, যেন একটা নির্মম চোরের হাতে দেশের হাড়-মাংস ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ছে বিদেশী ব্যাঙ্কের স্বর্গে! আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফুটে উঠা এই ভয়াবহ সত্য যেন সমাজের হৃদয়ে জ্বলন্ত একটা ক্ষত, যেখানে লুটেরা বিদেশে শান্তিতে বসবাস করে যখন আমাদের সাধারণ মানুষের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়, আর আইনের চোখ বন্ধ হয়ে আছে এই বিশাল চুরির প্রতি—এই পাচার যেন একটা কালো নদী, যা দেশের অর্থনীতির বাঁধ ভেঙে ফেলে বন্যার মতো ধ্বংস ছড়িয়ে দিচ্ছে, আর জনগণের কান্না আরও গভীর হয়ে উঠছে এই অন্যায়ের জ্বালায়!
জিয়া সাইবার ফোর্সের এই সভায় আসাদুজ্জামানের কথা যেন একটা দাহ্য আগুন, “এই লুটের বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের, কারণ বাংলাদেশের মানুষ লুটের পক্ষে নয়, খুনের পক্ষে নয়—সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য এই ফোর্স গঠিত হয়েছে!”—যেন আইনের হাত এখন জেগে উঠছে এই অন্ধকারের বিরুদ্ধে, কিন্তু এই ২৪০ বিলিয়নের লুটের ভয়াবহতা যেন একটা বিষাক্ত সাপ, যা দেশের হাড় চিবিয়ে খেয়ে ফেলছে, আর সমাজের অনুভূতিতে জাগিয়ে তুলছে ক্ষোভের ঝড়—কত পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে পড়েছে এই পাচারের জেরে, কত উন্নয়নের আলো নিভে গেছে এই লোভের তাণ্ডবে! জিয়া সাইবার ফোর্সের সমন্বয়ক মাহাবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই আলোচনা যেন একটা প্রতিজ্ঞার আসর, যেখানে শৈলকুপা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন বাবর ফিরোজ, সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক মেয়র খলিলুর রহমান, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মিজানুর রহমান বাবলু সহ অনেকের উপস্থিতি যেন একটা ঐক্যের দেওয়াল গড়ে তুলেছে এই লুটের বিরুদ্ধে।
আসাদুজ্জামানের এই সভার পর শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বপ্নবাজ ফাউন্ডেশনের সুপেয় পানির পাম্প উদ্বোধন করে নিজ অর্থে ৪০ সিলিং ফ্যান দান করে তিনি যেন একটা আলোর রশ্মি ছড়িয়ে দিয়েছেন, কিন্তু এই দানের পাশে ২৪০ বিলিয়নের লুটের কথা যেন একটা কালো ছায়া, যা দেশের হৃদয়ে জাগিয়ে তুলছে একটা গভীর অনুভূতির ঝড়—আইনের হাত কবে এই লুটেরাদের ফিরিয়ে আনবে, যাতে দেশের স্বপ্নের বাংলাদেশে লুটের অন্ধকার আর না হয় ছায়া ফেলে, আর জনগণের কান্না পরিণত হয় বিজয়ের হাসিতে?

