কালিয়াকৈরের মাটিতে আজ ন্যায়ের ঝড় উঠেছে! ১৩ বছরের নিরীহ মাদ্রাসা ছাত্রী আশা মনির উপর হিন্দুত্ববাদী জয় ও তার সহযোগী লোকনাথের অপহরণ-ধর্ষণের জঘন্য অত্যাচারের বিরুদ্ধে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মডেল মসজিদ ও মৌচাক এলাকা থেকে বের হয়েছে বিক্ষোভের অগ্নিময় মিছিল—যেন হাজারো হৃদয়ের মিলিত ক্রন্দন, যা সমাজের অন্ধকারকে চিরে ফেলে আলোর পথ খুলে দিচ্ছে। এই মিছিল শুধু প্রতিবাদ নয়, এটি এক মাতৃকুলের অশ্রুসিক্ত আহ্বান, যা আশা মনির ক্ষতকে স্পর্শ করে বলছে—ন্যায় ফিরবে, অপরাধীরা শাস্তি পাবে! তৌহিদি জনতার উদ্যোগে এই সমাবেশ যেন কালিয়াকৈরের মানুষের হৃদয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে অধিকারের আগুন, যা ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, ছাত্র, বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের ঐক্যে মুখরিত হয়েছে, আর আশা মনির মতো হাজারো নিরীহের জন্য এক অমর স্বপ্ন জাগিয়েছে।
জুমার নামাজের পর বের হয়ে আসা এই মিছিল যেন এক জ্বলন্ত নদী, যা কালিয়াকৈরের রাস্তায় বয়ে গিয়ে ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলে ধরেছে। বিক্ষোভকারীদের কণ্ঠে উঠে আসছে আশা মনির অশ্রু, যা জয়, লোকনাথ ও তাদের সঙ্গীদের অমানবিকতার বিরুদ্ধে এক তীব্র গর্জন—যেন প্রতিটি পদক্ষেপ নিরীহের কান্নাকে স্পর্শ করে, সমাজের বুকে ছুরির মতো বিঁধে। তারা অভিযোগ করেন, এই অপরাধীদের দ্রুত বিচার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে—এই হুমকি যেন কালিয়াকৈরের মানুষের অটল প্রতিজ্ঞা, যা অপরাধের অন্ধকারকে চিরে ফেলার জন্য এক মহান লড়াইয়ের ডাক। বক্তারা চিৎকার করেন, সমাজে এ ধরনের জঘন্য অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ইসলামি সমাজব্যবস্থায় ধর্ষণ এক ঘৃণ্য অপরাধ, যা মানবতার পরিপন্থী—এই কথা যেন মিছিলের প্রতিটি কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়েছে, যা আশা মনির ক্ষতকে স্পর্শ করে হাজারো নারীর নিরাপত্তার জন্য এক অশ্রুসিক্ত দাবি জাগিয়েছে।
এই মিছিল যেন কালিয়াকৈরের মাটিতে এক নতুন অধ্যায় লিখছে, যেখানে এলাকাবাসীর ঐক্য যেন এক অদম্য শক্তি, যা অপরাধীদের পায়ে শিকল বেঁধে দিচ্ছে, সমাজকে জাগিয়ে তুলছে। আশা মনির মতো নিরীহের কান্না আর চলুক না, ধর্ষকদের শাস্তি দেখুক সমাজ—এই দাবি যেন কালিয়াকৈরের আকাশে চিরকাল প্রতিধ্বনিত হয়, ন্যায়ের আলো জ্বালিয়ে দিয়ে অন্ধকার দূর করে!
