বরিশালের আঞ্চলিক বিজ্ঞান উৎসব বসছে আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর)। সকালে বরিশাল শহরের কালীবাড়ি রোডের ঐতিহ্যবাহী ব্রজমোহন বিদ্যালয় (বিএম স্কুল) প্রাঙ্গণে ঘণ্টা বাজিয়ে শুরু হবে এই উৎসব। সকাল ৮টা থেকে দিনভর শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমুখর আয়োজন ঘিরে থাকবে উৎসবের আমেজ।
আয়োজকরা জানাচ্ছেন, ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখানে অংশ নেবে প্রজেক্ট প্রদর্শনী ও কুইজ প্রতিযোগিতায়। প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে স্কুলশিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব গবেষণা ও উদ্ভাবনী চিন্তা উপস্থাপন করবে। কুইজ প্রতিযোগিতায় থাকবে দুটি বিভাগ—নিম্নমাধ্যমিক (৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি) এবং মাধ্যমিক (৯ম-১০ম শ্রেণি ও চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী)। নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীরাই এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
পুরস্কারে স্বপ্ন ছোঁয়ার হাতছানি
আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রতিটি ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ১০ জন কুইজ বিজয়ী এবং শীর্ষ ১০টি প্রজেক্ট দলকে পুরস্কৃত করা হবে। পুরস্কার হিসেবে থাকছে সার্টিফিকেট, মেডেল, বইসহ নানা আকর্ষণীয় উপহার। সবচেয়ে বড় কথা—এই বিজয়ীরা ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় পর্যায়ের উৎসবে প্রতিযোগিতার সুযোগ পাবে। সেখানে বিজয়ীদের জন্য অপেক্ষা করছে ল্যাপটপ, ট্যাবসহ বড় পুরস্কার।
অতিথি ও আকর্ষণীয় আয়োজন
উৎসবে উপস্থিত থাকবেন বিএম স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ভেন্যু প্রধান মো. মোমিন হাওলাদার, বিকাশ লিমিটেডের রেগুলেটরি এন্ড কর্পোরেট এফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট সায়মা আহসান, প্রথম আলোর বরিশাল প্রতিনিধি জসীম উদ্দিন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেনা রাণী বিশ্বাস, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. খোরশেদ আলম, সরকারি বরিশাল কলেজের বোটানি ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক সুব্রত কুমার দাস, ঝালকাঠি সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গৌতম কুমার সাহা এবং বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার।
শিক্ষার্থীদের আনন্দ বাড়িয়ে দিতে থাকছে জাদু প্রদর্শনী রাজীব বসাকের, গান ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক আয়োজন, রোবট প্রদর্শনী, বিজ্ঞান ম্যাজিক ও প্রশ্নোত্তর পর্ব।
বিজ্ঞান উৎসব: শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণা
বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসবের লক্ষ্য দেশের স্কুলশিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান নিয়ে কৌতূহল ও সৃজনশীলতা জাগিয়ে তোলা। ইতিমধ্যে ঢাকা, রংপুর ও রাজশাহীতে সফলভাবে উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। বরিশাল পর্ব শেষে চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটেও আঞ্চলিক বিজ্ঞান উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। আর সবশেষে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ের মহা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই বছরের বিজ্ঞান উৎসব।
শিক্ষার্থীরা বলছে, প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ তাদের শুধু পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করছে না, পাশাপাশি বড় স্বপ্ন দেখতেও অনুপ্রাণিত করছে। কারও হাতে রোবটের সার্কিট, কেউ আবার পরিবেশবান্ধব শক্তির মডেল বানিয়ে হাজির—এসব প্রজেক্টে ফুটে উঠছে ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার কিশোর স্বপ্ন।

