আফগানিস্তানে আংশিক ফাইবার-অপটিক ইন্টারনেট বন্ধের ফলে দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বাল্খ, কান্দাহার ও হেলমান্ডসহ কয়েকটি প্রদেশে সেবা বন্ধ হয়েছে, যা শিগগিরই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা দাবি করছেন, তালেবান নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্জাদার নির্দেশে “দুর্নীতি রোধের” জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইন্টারনেট বন্ধ হলে আফগানিস্তান কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এতে ব্যাংকিং, বাণিজ্য, এনজিও কার্যক্রম ও গণমাধ্যম ব্যাহত হবে। অনলাইন শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ নষ্ট হবে, বিশেষ করে মেয়েদের জন্য যারা গোপনে পড়াশোনা চালাচ্ছিল। প্রবাসী পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
স্থানীয়রা বলছেন, এটি জনগণের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করবে। একজন সাংবাদিক লিখেছেন, “ইন্টারনেট এখন খাদ্য-জলের মতো অপরিহার্য। দুই দশকের পর আবার বিচ্ছিন্নতায় ফেরা অসহনীয়।”
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ আফগানিস্তানের অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করবে এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে সফল হবে না। বরং এতে সাধারণ জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিকল্প হিসেবে বিশেষজ্ঞরা চীনের উদাহরণ টেনে বলেন, ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বন্ধ না করে কনটেন্ট ফিল্টারিং ও অবকাঠামো উন্নয়নের পথ অনুসরণ করা উচিত।

