logo
ads

মহাকাশে গিগা-ডেটা সেন্টার, সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত ঘোষণা জেফ বেজোসের

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশকাল: ৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৫ পি.এম
মহাকাশে গিগা-ডেটা সেন্টার, সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত ঘোষণা জেফ বেজোসের

সংগৃহীত ছবি

আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তা জেফ বেজোস আগামী ১০–২০ বছরের মধ্যে মহাকাশভিত্তিক গিগাওয়াট ক্ষমতার তথ্যভান্ডার (ডেটা সেন্টার) তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই কক্ষপথে থাকা তথ্যভান্ডার নিরবচ্ছিন্ন সৌরশক্তিতে চলবে এবং পৃথিবীর যেকোনো আবহাওয়ার প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে।

ইতালির তুরিনে অনুষ্ঠিত ‘ইতালিয়ান টেক উইক’-এ বেজোস বলেন, “আগামী দশকের মধ্যে আমরা মহাকাশে এই ধরনের বিশাল তথ্যভান্ডার তৈরি শুরু করব। সেখানকার সৌরশক্তি ২৪ ঘণ্টা ব্যবহার করা সম্ভব, কোনো মেঘ, বৃষ্টি বা আবহাওয়ার বাধা থাকবে না। তাই মহাকাশভিত্তিক ডেটা সেন্টার পৃথিবীর চেয়ে কার্যকর ও সাশ্রয়ী হতে পারে।”

বেজোস আরও বলেন, মহাকাশের এই তথ্যভান্ডার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করবে। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থানকে ইন্টারনেটের প্রাথমিক দিনের সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন, এই প্রযুক্তি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনীতি ও উৎপাদন খাতের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা দিতে সক্ষম।

তবে মহাকাশে ডেটা সেন্টার তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। রকেট উৎক্ষেপণের উচ্চ খরচ, রক্ষণাবেক্ষণে সীমাবদ্ধতা এবং কোনো উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হলে তার ঝুঁকি প্রধান।

বেজোসের ধারণা অনুযায়ী, মহাকাশভিত্তিক তথ্যভান্ডার পৃথিবীতে বিদ্যমান ডেটা সেন্টারের তুলনায় সাশ্রয়ী, নিরবচ্ছিন্ন এবং অধিক কার্যকর হবে। তিনি মনে করেন, ভবিষ্যতে মহাকাশ প্রযুক্তি কেবল যোগাযোগ বা আবহাওয়ার পূর্বাভাসে নয়, তথ্য সংরক্ষণ ও শিল্পোৎপাদনেও বিপ্লব ঘটাতে পারে।

মহাকাশভিত্তিক ডেটা সেন্টার গড়ার এই পরিকল্পনা প্রযুক্তি ও মহাকাশ গবেষণার নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে, যা আগামী দুই দশকে বাস্তবায়িত হলে তথ্যপ্রযুক্তি ও শিল্পখাতে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ