logo
ads

সমুদ্রের গভীরে রোবোটিক্সের নতুন জোয়ার

মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১০ এ.এম
সমুদ্রের গভীরে রোবোটিক্সের নতুন জোয়ার

বর্তমান বাংলা

বাংলাদেশের সমুদ্রকিনারা যেন এক অদম্য ঢেউয়ের মতো উথলে উঠেছে আজ—বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি এবং দেশীয় রোবোটিক্সের অগ্রদূত ডুবোটেক ডিজিটাল লিমিটেড মিলে এক অভূতপূর্ব পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছে, যা সামুদ্রিক খাতে উদ্ভাবনের এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। এই জোটের মধ্য দিয়ে রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকল (ROV), স্বয়ংক্রিয় রোবোটিক সিস্টেম এবং বুদ্ধিমত্তাভরা আন্ডারওয়াটার প্রযুক্তির উন্নয়ন হবে এমনভাবে, যেন সমুদ্রের গভীরতম অন্ধকারকে আলোকিত করে ব্লু ইকোনমির স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। এই সহযোগিতা শুধু প্রযুক্তির সীমানা ছাড়িয়ে যাচ্ছে না, বরং দেশের যুবকদের হৃদয়ে এক অদম্য আশা জাগাচ্ছে—যে, আমাদের সমুদ্র আমাদের ভবিষ্যতের অনন্ত সম্ভাবনার প্রতীক।

আজ মঙ্গলবার, মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির কনফারেন্স রুমে এই মুহূর্ত যেন এক ঝড়ো সমুদ্রের শান্ত লহরীর মতো উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কমান্ডার মোহাম্মদ ইরফান মাহদী, যিনি এই যাত্রার ক্যাপ্টেনের মতো নেতৃত্ব দিচ্ছেন; এবং ডুবোটেকের সিইও মোঃ নাঈম হোসেন সৈকত ও সিওও মোঃ মাহফুজুল হক, যাদের চোখে ঝলকাচ্ছে সেই উত্তেজনা যা একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রতিশ্রুতি বহন করে। এই মিলনমুহূর্তে বাতাসে ভাসছে সেই অনুভূতি—যেন বাংলাদেশের সমুদ্র অবশেষে তার নিজস্ব শক্তির জাগরণ দেখছে, গর্বিত এবং আনন্দিত।

দেশের একমাত্র সরকারি মেরিটাইম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি সামুদ্রিক খাতে দক্ষ মানুষ গড়ে তোলার মতো এক অটুট দুর্গ, যা গবেষণার ঢেউ তুলে নীল অর্থনীতির পথ প্রশস্ত করছে দেশীয়-আন্তর্জাতিক স্তরে। এবার ডুবোটেকের সঙ্গে এই বন্ধন যেন এক শক্তিশালী জাল বুনছে, যা গবেষণা, উদ্ভাবন এবং মানবসম্পদের উন্নয়নকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ডুবোটেকের বিশেষজ্ঞদের সাথে হাত মিলিয়ে আন্ডারওয়াটার রোবোটিক্সের প্রকল্পে ডুব দিবেন, যেন সমুদ্রের তলদেশে লুকানো রত্ন আবিষ্কার করার মতো—এতে যুবকদের হৃদয়ে জাগবে সেই আনন্দময় অভিজ্ঞতা, যা তাদেরকে প্রযুক্তির যোদ্ধায় রূপান্তরিত করবে।

গত আট বছর ধরে ডুবোটেক যেন সমুদ্রের অন্ধকারে আলোর পথিকৃৎ, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করে আন্ডারওয়াটার রোবট এবং স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির মাধ্যমে শিল্প, পরিবেশ ও প্রতিরক্ষার জন্য অসাধারণ সিস্টেম গড়ে তুলেছে। তাদের স্বপ্ন এক টেকসই মেরিটাইম টেকনোলজি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা, যেখানে স্থানীয় গবেষণা এবং শিল্প মিলে দেশের প্রযুক্তিগত শক্তিকে অটল করে তুলবে—এই পার্টনারশিপ সেই স্বপ্নকে আরও উজ্জীবিত করে, যেন এক নতুন সকালের আলোয় বাংলাদেশের সমুদ্র উঠে দাঁড়াচ্ছে।

ডুবোটেকের সিওও মোঃ মাহফুজুল হকের কথায় সেই গভীর অনুভূতি প্রকাশ পায়: "এই সহযোগিতা মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনন্য সুযোগের দরজা খুলে দিচ্ছে, যেখানে তারা আমাদের চলমান আন্ডারওয়াটার রোবট প্রকল্পে যুক্ত হয়ে সরাসরি জ্ঞানের সমুদ্রে ডুব দিতে পারবে। আমরা চাই এমন এক প্রজন্ম গড়ে তুলতে, যারা প্রযুক্তির দক্ষতায় ভরপুর হয়ে বাংলাদেশের মেরিটাইম শিল্পকে বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্ব দেবে—এতে আমাদের হৃদয় ভরে ওঠে গর্বে এবং আশায়।"

সংশ্লিষ্টদের মতে, এই উদ্যোগ নীল অর্থনীতির এক মাইলফলক, যা দেশীয় রোবোটিক্সের বলিষ্ঠতায় সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধান, তলদেশ পর্যবেক্ষণ এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তাকে অটল করে তুলবে। এর ফলে কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে, শিল্পের সম্ভাবনা ফুটে উঠবে যেন বর্ষার বন্যায়—এবং দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতি প্রযুক্তিনির্ভর ও টেকসই হয়ে উঠবে, যা আমাদের সকলের হৃদয়ে জাগাবে সেই উল্লাসময় অনুভূতি যে, আমরা এখন সমুদ্রের মালিক, তার অসীম শক্তির সাথী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ