নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব রাদের কোরআন অবমাননার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের আলেমদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হাটহাজারী ওলামা পরিষদ। এছাড়া, দেশে ব্লাসফেমি আইন জারির জোরালো দাবি তোলা হয়েছে।
আজ সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে হাটহাজারী ওলামা পরিষদের সভাপতি ও হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র মুফতী ও মুহাদ্দিস মুবাল্লিগে ইসলাম আল্লামা মুফতী জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক শায়খুল হাদীস মাওলানা জাফর আহমদ বলেন, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব রাদের কোরআন অবমাননার জঘন্য দৃশ্য দেশের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। ওই শিক্ষার্থী নিজেই তার ফেসবুক প্রোফাইলে কোরআন অবমাননার ভিডিওচিত্র প্রচার করে আরো বড় অপরাধ করেছেন। এতে বোঝা যায়, এ কাজ তিনি সজ্ঞানে করেছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিতের দাবি করছি এবং দেশে যাতে এধরণের ঘটনার পুনারাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য দেশে ব্লাসফেমি আইন জারির জোর দাবী জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, আবহমানকাল ধরে মুসলিমসহ অন্য ধর্মাবলম্বীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ হয়ে আছে। কিন্তু কখনো কখনো কিছু মহল এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র লিপ্ত হয়। যদি এটি বিদেশি আগ্রাসী শক্তির ষড়যন্ত্র অথবা পতিত ফ্যাসিস্টদের দেশকে অস্থিতিশীল করার নীল নকশা হয়ে থাকে, তবে তৌহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে তাদের যেকোন ষড়যন্ত্র রুখে দিতে আমরা প্রস্তুত আছি, ইনশাআল্লাহ।
পটভূমি: নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ছাত্র অপূর্ব পাল (২২) গত শনিবার (৪ অক্টোবর) ক্যাম্পাসে কুরআন অবমাননা করেন বলে অভিযোগ। তিনি নিজের ফেসবুকে পাঁচটি ভিডিও এবং পোস্ট আপলোড করেন, যাতে কুরআনকে 'ভ্রান্তি' বলে উল্লেখ করে তা পায়ে মারা এবং ছিঁড়ে ফেলার দৃশ্য দেখা যায়। এতে ক্ষোভিত ছাত্ররা প্রতিবাদ করে এবং রবিবার ভোরে তার বাসভবনে হামলা চালায়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং ঢাকা আদালতে হাজির করলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান তাকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে এবং পেনাল কোডের ধারা ২৯৫এ (ধর্মীয় অনুভূতি আহত করা) জেরে মামলা দায়ের করে।

