নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী কর্তৃক পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশের বরেণ্য আলেমে-দ্বীন, জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস হযরত আল্লামা শেখ আহমদ (দা.বা.)।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “পবিত্র কুরআন মুসলমানের প্রাণ, মুসলমানের হৃদয়ের কেন্দ্রবিন্দু। এই মহান গ্রন্থের অবমাননা মানে ইসলাম ও মুসলিম জাতির হৃদয়ে ছুরি চালানোর সামিল।”
তিনি আরও বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল কর্তৃক কুরআন অবমাননার জঘন্য ঘটনা শুধু অপরাধ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ঈমানি চেতনাকে গভীরভাবে আঘাত করেছে।
আল্লামা শেখ আহমদ (দা.বা.) বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি, ওই শিক্ষার্থী নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবমাননাকর ভিডিও প্রকাশ করেছে, যা তার উদ্দেশ্যকে আরও ঘৃণ্য করে তুলেছে। এটি নিছক অজ্ঞতা নয়, বরং পরিকল্পিত ধর্মীয় অপরাধ।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন দুঃসাহস না দেখায়।”
তিনি আরও বলেন, “পবিত্র কুরআন মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মানবজাতির হিদায়াত, ন্যায়বিচার ও শান্তির দিশারি। যে সমাজ কুরআনের মর্যাদা রক্ষা করে না, সে সমাজ আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়।”
শায়খুল হাদীস আল্লামা শেখ আহমদ (দা.বা.) বলেন, “বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এখানে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। কিন্তু কিছু কুচক্রী ও ধর্মবিরোধী মহল সম্প্রীতি নষ্টের ষড়যন্ত্র করছে। নর্থ সাউথে সংঘটিত ঘটনাটি সেই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “ধর্ম অবমাননার মতো অপরাধের বিচার যদি উপেক্ষিত থাকে, তবে তা সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট করতে পারে। তাই রাষ্ট্রকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।”
বিবৃতির শেষে তিনি বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ জোরদার করা এখন সময়ের দাবি। পাশাপাশি ধর্ম অবমাননা রোধে কঠোর আইন ও তার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি দোয়া করে বলেন, “আল্লাহ যেন মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও আনুগত্যে দৃঢ় রাখেন এবং ইসলামবিরোধী অপচেষ্টা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করেন।”

