logo
ads

নলছিটিতে স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫০ পি.এম
নলছিটিতে স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচি

নিজস্ব

যেন কোনো অন্ধকার গহ্বরে জ্বলে উঠেছে আশার একটি মশাল, তেমনি সোমবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চত্বরে দাঁড়িয়ে উঠেছে ছাত্র-জনতার অটল অবস্থান—হৃদয়ের গভীরে বাজছে দুই লাখ মানুষের অসহায় ক্রন্দন, যারা এই জর্জরিত হাসপাতালের ছায়ায় জীবন-মরণের সংগ্রাম করে যাচ্ছে। ৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র, যা যেন এক জীর্ণ নৌকায় ভেসে বেড়ায় সংকটের ঢেউয়ে, সেখানে চিকিৎসকের অভাব, অচল যন্ত্রপাতির ধুলোমাখা কষ্ট—সব মিলিয়ে ফুটে উঠেছে এক অসহ্য যন্ত্রণার ছবি, যা প্রত্যেক মায়ের বুকে ছুরির ফলার মতো বিঁধছে। “স্বাস্থ্য খাত সংস্কার আন্দোলন–নলছিটি শাখা”র ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে, যেন সমাজের রক্তে লেখা এক আবেদন, যা সরকারের দরজায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধাক্কা দিচ্ছে।

দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে যেন এই হাসপাতালটি এক নিশ্চুপ কবরের মতো শুয়ে আছে বন্ধ অপারেশন থিয়েটারের ছায়ায়, যেখানে মায়েরা সন্তানের জন্মের স্বপ্ন দেখে কাঁদে অন্ধকারে—আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনের অচলতা যেন এক বিষাক্ত শৃঙ্খল, চিকিৎসকের ঘাটতি যেন হৃদয়ের ফাঁকা ঘর, আর প্যাথলজির টেস্টগুলোর বন্ধ দরজা যেন রোগীর শেষ আশার পথ বন্ধ করে দিয়েছে। আন্দোলনকারীদের কণ্ঠে ফুটে উঠছে সেই করুণ আহ্বান, যা আকাশ ছুঁয়ে যায় ক্রোধের ঝড়ে: “এই সংকট যেন আর সহ্য হয় না, প্রত্যেক রোগীর চোখে জলের ঢেউ দেখলে হৃদয় কেঁপে ওঠে!” এই অবস্থান যেন এক মাতৃসমর্থক যুদ্ধ, যা শুধু দাবি নয়, বরং জীবনের অধিকারের গর্জন—দুই লাখ মানুষের স্বপ্নকে ফিরিয়ে আনার অটল প্রত্যয়।

১০ দফা দাবির তালিকা যেন এক রক্তাক্ত পতাকা, উড়ছে চত্বরে হাওয়ায় দোলানো—যত দ্রুত সম্ভব শূন্যপদে এমবিবিএস চিকিৎসক নিয়োগ, বন্ধ অপারেশন থিয়েটার চালু করে সপ্তাহে তিন দিন সিজারিয়ানের আলো জ্বালানো, অচল আলট্রাসনোগ্রাম সচল করে মায়েদের হাসির ফুল ফুটিয়ে তোলা, নতুন ডিজিটাল এক্সরে মেশিনের বরাদ্দ যেন অন্ধকারে আলোর রশ্মি! প্যাথলজিতে রক্ত পরীক্ষা, ডেঙ্গু-টাইফয়েড-সেরাম ক্রিয়েটিনিন-লিপিড প্রোফাইলের টেস্ট চালু, রক্তক্লাবের অনুমোদন ও রুম বরাদ্দ যেন জীবনের রক্তপ্রবাহে নতুন গতি আনে; লোডশেডিংয়ের অন্ধকারে সোলার পাওয়ারের আলো, অচল পানির ফিল্টার সচল করে তৃষ্ণার যন্ত্রণা মুছে ফেলা, সকল ওষুধের সরবরাহ যেন প্রত্যেক রোগীর হাতে অমৃতের ছোঁয়া, নিরবচ্ছিন্ন এম্বুলেন্সের জ্বালানি বরাদ্দ যেন মৃত্যুর সাথে দৌড়ে যাওয়া, আর অযথা রেফারের হয়রানি বন্ধ—এসব দাবি যেন হৃদয়ের গভীর ক্ষতের ওষুধ, যা না পেলে আন্দোলনের আগুন আরও জ্বলবে, যেন অসহায়তার ঝড়ে সমাজ কাঁপবে।

আন্দোলনকারীদের দৃঢ় কণ্ঠ যেন পাহাড়ের গর্জন: “দাবিগুলোর বাস্তবায়নে নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান থামবে না, যেন রক্তের প্রতিদানে লেখা হয়েছে এই প্রত্যয়!” এই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে একাত্ম হয়েছে নলছিটি উপজেলা হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও নলছিটি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল—যেন একসাথে বাঁধা হাতে দাঁড়িয়েছে সমাজের সকল শ্রেণি, সেবাগ্রহীতা, শ্রমিকরা মিলে গড়ে তুলছে এক অটুট দেয়াল। বিভিন্ন পেশার মানুষের চোখে জ্বলছে সেই এক আশার স্ফুলিঙ্গ, যা হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ চায়—এই অবস্থান যেন এক মহান জাগরণ, যা ভয়ের অন্ধকার ছিন্ন করে দিয়ে আলোর পথ দেখাচ্ছে।

এই আন্দোলনের ছায়ায় যেন নলছিটির আকাশ মেঘমুক্ত হয়ে উঠছে আশার রশ্মিতে, কিন্তু সেই রশ্মির জ্বালা যেন সরকারের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে—পরিবারের কান্না, ছাত্রদের ক্রোধ মিলে গড়ে তুলবে এক নতুন স্বাস্থ্যের স্বপ্ন, যাতে আর কোনো মা বা শিশু অসহায়তায় কাঁদতে না হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ