চকরিয়ার বানিয়াছড়া আমতলী ঢালায় যেন মৃত্যুর ছায়া নেমে এসেছিল, যেখানে ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের নিয়ন্ত্রণহীন ধাক্কায় ওষুধবাহী কাভার্ডভ্যান সড়কের পাশে খাদে ছিটকে পড়ে—এই দুর্ঘটনা যেন জীবনের ওপর অতর্কিত আঘাত, যা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে রক্তশূন্য আতঙ্কে ঢেকে দিয়েছে। রোববার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় এই ভয়াবহ ঘটনায় কাভার্ডভ্যানটি, যা জীবনরক্ষা ওষুধ পরিবহন করছিল, সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও চালক ও সহকারী অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান, যেন তাঁদের জীবন ছিল মৃত্যুর থাবা থেকে ছিনিয়ে আনা এক অলৌকিক উপহার। ছবি বিবেচনা করে দেখা যায়, ভ্যানের ভেতর থেকে ছড়িয়ে পড়া ওষুধের বাক্সগুলো যেন জনগণের স্বাস্থ্যের আশাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কক্সবাজারগামী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা ওষুধবাহী কাভার্ডভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয়, ফলে ভ্যানটি খাদে পড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। স্থানীয়দের দ্রুত উদ্ধার তৎপরতায় আহতদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়, তবে কোনো প্রাণহানির খবর না পাওয়া যেন এই বিপর্যয়ের মাঝে একমাত্র স্বস্তির আলো। চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চলাচল স্বাভাবিক করে, বাস ও কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়েছে—তদন্তের পর আইনি ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি যেন ন্যায়ের পথে এক পদক্ষেপ। এই দুর্ঘটনা জাগিয়েছে প্রশ্ন—কবে এই মহাসড়ক মুক্ত হবে অবৈধ দৌরাত্ম্য থেকে, কবে জনগণ ফিরে পাবে নিরাপদ যাত্রা ও ওষুধ পরিবহনের নিরাপত্তা? চকরিয়ার এই ঘটনা যেন সবাইকে সতর্ক করছে, জীবন ও স্বাস্থ্যের মূল্য রক্ষায় প্রয়োজন সতর্কতার অটুট প্রতিজ্ঞা।

