বৈষম্যের বিষাক্ত শৃঙ্খলে বাঁধা স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতির আঘাতে কাঁপছে শ্রীমঙ্গলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেওয়াল, যেন এক নির্মম অন্ধকারে ডুবে গেছে শিশুদের ইপিআই ও টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের আলো—হৃদয়ের গভীরে বাজছে মায়েদের অসহায় ক্রন্দন, যা আকাশ ছুঁয়ে যায় অধিকারের ঝড়ে। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় ৬ দফা দাবির অংশ হিসেবে সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালীন কর্মবিরতিতে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য সহকারীরা যেন এক মহান জাগরণের ডাক দিয়েছে, যা সরকারের দরজায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধাক্কা খাচ্ছে—এই বিরতিতে শিশুরা বিশ্ব শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য "শিশুর কথা শুনব আজ, শিশুর জন্য করব কাজ" থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে, যেন এক অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে ফুটে উঠছে অধিকারের অন্ধকার ছায়া।
স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) মো. মাহবুবুর রহমান, এসোসিয়েশনের সভাপতি দুলন চন্দ্র দেব, সম্পাদক মো. সোহেল আহমদ, স্বাস্থ্য সহকারী আতাউর রহমানসহ সকল স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও পরিদর্শকবৃন্দের উপস্থিতিতে এই কর্মবিরতি যেন এক অটুট দেয়াল গড়ে তুলেছে, যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দাঁড়িয়ে অবিচারের বিরুদ্ধে গর্জন করছে—স্বাস্থ্য সহকারীদের কণ্ঠে ফুটে উঠছে এক অসহায় ক্রোধ, যা পাহাড় চিরে বেরিয়ে আসছে নদীর মতো: "বহু বছরের বৈষম্যে আমরা ক্লান্ত, আশ্বাসের খেলায় আর না—দাবি পূরণ না হলে কর্মসূচি চলবে, তবেই মাঠপর্যায়ের সেবা কার্যকর হবে এবং জনগণের স্বাস্থ্য মান উন্নত হবে; সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ চাই!" এই আহ্বান যেন এক বিষাক্ত ফোঁটার মতো ছড়িয়ে দিয়েছে সচেতনতার ছায়া, যা প্রত্যেক মায়ের হৃদয়ে কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে।
ছয় দফা দাবির তালিকা যেন এক রক্তাক্ত পতাকা, উড়ছে চত্বরে হাওয়ায় দোলানো—মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্য সহকর্মীদের নিয়োগবিধি সংশোধন, স্নাতক সমমান সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিতকরণসহ অন্যান্য দাবি যেন হৃদয়ের গভীর ক্ষতের ওষুধ, যা না পেলে যন্ত্রণার আগুন আরও জ্বলবে—এই দাবিগুলো যেন এক অদম্য তীর, যা ছুটে যাবে ন্যায়ের লক্ষ্যে, কিন্তু বৈষম্যের কালো জালে আটকে আছে বছরের পর বছর।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. সিনথিয়া তাসনিমের কণ্ঠে ফুটে উঠছে এক কর্মকর্তার অস্থিরতার সুর: "কর্মবিরতির ফলে ইপিআই এবং টাইফয়েড ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যাহত, যেন শিশুদের অধিকারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই অন্ধকার—বিশ্ব শিশু দিবসে এমন বঞ্চনা যেন এক নির্মম আঘাত, যা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিপাদ্যকে চ্যালিয়ে দিচ্ছে।" এই কথায় যেন চোখের জলে ধুয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পেইনের অসমাপ্ত স্বপ্ন, কিন্তু সাথে জাগিয়ে তুলছে সরকারের দায়িত্বের নতুন আশার পথ।
এই কর্মবিরতির ছায়ায় যেন শ্রীমঙ্গলের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে উঠেছে অশ্রুর ঢেউয়ে, কিন্তু সেই মেঘের ফাঁকে জ্বলছে ন্যায়ের আশার স্ফুলিঙ্গ—যা একদিন জ্বলে উঠবে প্রজ্বলন্ত আগুন হয়ে। স্বাস্থ্য সহকারীদের কান্না, শিশুদের অধিকারের ক্রোধ মিলে গড়ে তুলবে এক নতুন সেবার স্বপ্ন, যাতে আর কোনো বৈষম্যের কালো ছায়া না পড়ে।

