logo
ads

হেফাজতের আহ্বান: কোরআন অবমাননায় সংখ্যালঘু নেতারা পাশে দাঁড়ান

হাটহাজারী প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০১ পি.এম
হেফাজতের আহ্বান: কোরআন অবমাননায় সংখ্যালঘু নেতারা পাশে দাঁড়ান

প্রতিকী ছবি

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নজিরবিহীন কোরআন অবমাননার রক্তাক্ত ছায়ায় কাঁপছে সমাজের হৃদয়, তেমনি সোমবার সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের প্রতি উদ্দীপ্ত আহ্বান জানিয়েছেন—হৃদয়ের গভীরে বাজছে ধর্মীয় অনুভূতির অসহায় কান্না, যা আকাশ ছুঁয়ে যায় ঐক্যের ঝড়ে। তিনি বলেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নির্বিশেষে সবার ধর্মীয় পবিত্রতা রক্ষায় সর্বোচ্চ কঠোর আইনের দাবিতে নাগরিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে, যেন এই অবমাননার বিষাক্ত ফোঁটা ছড়িয়ে না পারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সবুজ বাগান।

বিবৃতিতে মাওলানা আজিজুল হকের কণ্ঠ যেন পাহাড় চিরে বেরিয়ে আসছে নদীর গর্জন: "ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের দোসররা মন্দির-প্রতিমা ভেঙে আপনাদের অনুভূতিতে আঘাত দেয়, তেমনি আমাদের রাসূল (সা.), আল্লাহ ও ইসলামী বিধান নিয়ে কটূক্তি করে আমাদের হৃদয় ছিঁড়ে ফেলে—সর্বশেষ এই ভয়াবহ কোরআন অবমাননা চূড়ান্ত উদ্বেগের, যা আমাদের সকলকে একত্রিত করে তুলছে।" তিনি যোগ করেন, আপনারা আক্রান্ত হলে আমরা সর্বদা প্রতিবাদে সরব হয়েছি, কারণ ধর্ম অবমাননাকারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ-সংখ্যালঘু সবার শত্রু—কঠোর আইন না থাকায় এমন ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে, কোনো বিচার ছাড়াই, যেন এক অন্ধকার গহ্বরে জ্বলছে অবিচারের আগুন।

আহ্বানের এই ঝড়ে ফুটে উঠছে এক অটল প্রত্যয়ের আলো: "কঠোর আইন পাস হলে শুধু মুসলিম নয়, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার ধর্মীয় অনুভূতি আইনানুগভাবে সুরক্ষিত হবে—কিন্তু ইন্ডিয়াপন্থী বাম-সেক্যুলার গোষ্ঠী এই সমস্যা জীয়ে রেখে আলেম-ওলামা ও ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের 'ভিকটিম কার্ড' ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করে, যা ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্রের কালো জাল।" এই কথায় যেন হৃদয়ের গভীর ক্ষতের ওষুধ মাখা হয়েছে, কিন্তু সাথে জ্বালিয়ে তুলছে ঐক্যের নতুন আশার পথ—সংখ্যালঘু নেতাদের পাশে দাঁড়ানোর এই আহ্বান যেন এক মাতৃসমর্থক যুদ্ধ, যা সমাজের প্রত্যেককে জাগিয়ে তুলছে সম্প্রীতির স্ফুলিঙ্গে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি তাঁর গর্জন যেন এক অদম্য তীর: "মুসলিম শিক্ষার্থীদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামবিদ্বেষের কাঠামো দূর করে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিন, অন্যথায় প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না—যেন এই অবমাননার ছায়া আর ছড়াতে না পারে শিক্ষার আলয়ে।" এই দাবি যেন এক বিষাক্ত সাপের ফণা তুলে দাঁড়িয়েছে, যা অবিচারের বিরুদ্ধে অটল প্রতিরোধের প্রতীক।

এই প্রতিবাদের ছায়ায় যেন দেশের আকাশ মেঘমুক্ত হয়ে উঠছে ঐক্যের রশ্মিতে, কিন্তু সেই রশ্মির জ্বালা যেন সকলের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে—ধর্মাবলম্বীদের কান্না, নেতাদের ক্রোধ মিলে গড়ে তুলবে এক নতুন সম্প্রীতির স্বপ্ন, যাতে আর কোনো অবমাননার কালো ছায়া না পড়ে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ