logo
ads

অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফায়ার ফাইটার নুরুলের মৃত্যুর ১১ দিন পর সন্তান জন্ম দিলেন স্ত্রী

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৬ পি.এম
অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফায়ার ফাইটার নুরুলের মৃত্যুর ১১ দিন পর সন্তান জন্ম দিলেন স্ত্রী

ফাইল ছবি

অগ্নির লেলিহান জিহ্বায় গ্রাস করা ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদার অকাল বিদায়ের ১১ দিন পর যেন আল্লাহর অশেষ করুণার ঝলক জ্বলে উঠেছে অন্ধকারের মাঝে—তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আসমা খাতুন আজ পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়ে হৃদয়ে নতুন আশার স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়েছেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকাল সাড়ে ১০টায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই অমৃত মুহূর্ত যেন বিষাক্ত ক্ষতের উপর মলমের ছোঁয়া দিয়ে রেখেছে। এই হৃদয়স্পর্শী ঘটনায় এলাকার প্রত্যেক বুক কাঁপছে দুঃখ-আনন্দের মিশ্র আবেগে, চাঞ্চল্যের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে প্রতি ঘরে যেন বজ্রপাতের পর রোদ্দুরের আলিঙ্গন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীতে রাসায়নিক গুদামের অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে ছুটে গিয়ে বিস্ফোরণের আঘাতে দগ্ধ হয়ে চির বিদায় নেন নুরুল হুদা, যিনি টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার হয়ে ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ থেকে আগুনের মুখোমুখি লড়াই করে এসেছিলেন যেন বীরের মতো—পরদিন সকালে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের ধামাইল গ্রামের কবরস্থানে দাফন হয়ে যান, মা-বাবা, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, ১০ বছরের মেয়ে ও ৩ বছরের ছেলে রেখে যেন হৃদয়ে রক্তাক্ত শূন্যতা ফেলে দিয়ে। এই বিচ্ছেদের যন্ত্রণায় পরিবারের বুক ফেটে যাচ্ছে, এলাকায় শোকের কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে যেন বিষের ফোঁটা ঢেলে দিয়েছে সকলের মনে।

স্বজনেরা কাঁপা কণ্ঠে জানান, রবিবার দুপুরে আসমা খাতুনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় যেন অন্ধকারের গহ্বর থেকে আলোর সন্ধানে, চিকিৎসকের পর্যালোচনায় আজ সকাল সাড়ে ১০টায় অস্ত্রোপচার হয় এবং পুত্রসন্তানের আগমন ঘটে যেন নতুন জীবনের সুর বাজতে শুরু করে হৃদয়ের তারে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দীসহ সহকর্মীরা পরিবারের পাশে ছিলেন যেন মায়ের কোলের উষ্ণতায় জড়িয়ে ধরেছে, এই মুহূর্তে এলাকার মানুষের চোখে অশ্রুর ধারা মিশে গেছে আনন্দের ঝর্ণায়, চাঞ্চল্যের ঝড় তুলে দিয়েছে প্রত্যেকের বুকে।

নুরুল হুদার বাবা আবুল মুনসুরের কণ্ঠ ভেঙে যাচ্ছে বলতে—‘আমি ছেলে হারালাম, তার সন্তান এতিম হয়ে জন্ম নিল যেন হৃদয়ে ছুরির কাটামারি দিয়ে রেখে গেল, সে তার সন্তানকে দেখে যেতে পারল না কিন্তু আল্লাহ সব পরিকল্পনাকারী, তিনিই আমার নাতিকে দেখে রাখবেন’—এই কথায় যেন শোকের গভীরতা ফুটে উঠেছে যেন বিষাক্ত ঝড়ে কাঁপছে আকাশ, পরিবারের হাহাকারে এলাকা কাঁদছে নীরবে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক জাকিউল ইসলামের কণ্ঠে আশার সুর বাজছে—‘আসমা খাতুন গতকাল ভর্তি হওয়ার পর আজ অস্ত্রোপচারে পুত্রসন্তান জন্ম দিয়েছেন, মা-শিশু দুজনেই ভালো আছেন, দুপুরে হাসপাতালের পরিচালকসহ খেয়াল রেখে এসেছি’—এই সংবাদ যেন অন্ধকারের পর রোদ্দুরের আলিঙ্গন, এলাকায় উদ্বেগের কালো ছায়া কেটে নতুন জীবনের আলো জ্বলে উঠেছে যেন হৃদয়ে উত্তেজনার ঝড় তুলে দিয়ে।

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ