চৌদ্দগ্রামে শিশুদের জীবন রক্ষার উজ্জ্বল স্বপ্ন যেন আলোর প্রদীপ জ্বালিয়ে দিয়েছে—আগামী ১২ অক্টোবর দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির শুরুতে সারাদেশে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুর হৃদয়ে রক্ষাকবচ পরিয়ে দেওয়ার এই উদ্যোগ যেন মায়ের কোলের উষ্ণতায় জড়িয়ে ধরেছে সকলকে, হৃদয় কাঁপিয়ে দিয়ে উত্তেজনার ঢেউ তুলেছে প্রত্যেকের বুকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাশাপাশি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রস্তুতি যেন আশার রোদ্দুর ফুটিয়ে তুলেছে, টাইফয়েডের বিষাক্ত ছায়া কেটে ফেলার এই যাত্রায় এলাকা মুখরিত হয়েছে আনন্দের গানে।
মঙ্গলবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভা যেন একতার উষ্ণ আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরেছে সকলকে—প্রধান অতিথি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ রশিদ আহমেদ চৌধুরীর বক্তব্য যেন হৃদয়স্পর্শী সুরের মতো বাজতে থাকে, শিশুদের সুস্থ ভবিষ্যতের স্বপ্নে সভা কাঁপছে উদ্দীপনার জোয়ারে। তিনি জানান, উপজেলায় টাইফয়েড টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ১,৪৮,৯৫১ জন যেন আলোর পথে ছুটে যাওয়ার মতো, মোট ৩৩৭ টি কেন্দ্রে ৩৩৭ জন স্বেচ্ছাসেবকসহ ৫৫৩ জন দক্ষ জনশক্তির হাতে এই কর্মসূচি সম্পন্ন হবে যেন মায়াবী সেতুর মতো সংযুক্ত হয়েছে স্বাস্থ্যের স্বপ্ন ও বাস্তবতা।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমওডিসি ডাঃ সৈয়দ আল মনসুরের পরিচালনায় ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মোঃ রিয়াজুল ইসলামের সার্বিক সহযোগিতায় সভা যেন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে—উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম মীর হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নূরুল হুদা তালুকদার, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহনাজ আক্তার, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ ফারুক আহম্মদ, চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক তারেক উদ্দিন আকাশ, ইফা’র ফিল্ড অফিসার মো. রুহুল আমিন, মাওলানা শাহ আলম ও মাস্টার সুলতান আহম্মদ প্রমুখের উপস্থিতি যেন একতার জ্যোতি জ্বালিয়ে তুলেছে, শিশুদের হাসির ফুল ফুটিয়ে তোলার উন্মাদনায় সভা মুখরিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া যেন আশার বীজ বপন হয়েছে, ওই সময়ে ১ সেপ্টেম্বর টিকাদান শুরু হবে বলে জানানো হয়েছিল কিন্তু প্রস্তুতির ঘাটতিতে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে যেন ধৈর্যের পরীক্ষায় মিশে গেছে আশার সুর, এখন এই ক্যাম্পেইন যেন শিশুদের ভবিষ্যতকে সোনার আলোয় রাঙিয়ে তুলবে, এলাকায় উত্তেজনার ঝড় তুলে দিয়ে প্রত্যেকের হৃদয়ে সুস্থ জীবনের স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছে।

