শেরপুরের মাটিতে যেন এক নতুন আশার ঢেউ উঠেছে—টাইফয়েড জ্বরের ভয়াবহ ছায়া থেকে শিশুদের মুক্ত করতে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় শুরু হচ্ছে এক অভূতপূর্ব টিকাদান ক্যাম্পেইন, যেন সরকারের এই উদ্যোগ হাজারো পরিবারের হৃদয়ে জাগিয়েছে স্বাস্থ্যের সেই অমর আলো। জেলায় ৩ লাখ ৮৩ হাজার শিশু ও শিক্ষার্থীকে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে, যার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ লাখ ৪২ হাজার ৬৩৪ জন এবং প্রতিষ্ঠানের বাইরে ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৫৬ জন—এই সংখ্যা যেন শুধু অঙ্ক নয়, বরং এক প্রজন্মের ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি, যা টাইফয়েডের বিষাক্ত হাত থেকে তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখবে এক সুস্থ ও উজ্জ্বল জীবনের দিকে। এ পর্যন্ত ৫৮ শতাংশ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে, যেন এই অগ্রগতি হৃদয়ে জাগিয়েছে সেই উল্লাসময় অনুভূতি যে, শেরপুরের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে যাবে এই সুরক্ষার জোয়ার।
জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১ হাজার ৬৮০টি এবং বাইরে আরও ১ হাজার ৩৫০টি টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যেন এই কেন্দ্রগুলো এক অটুট দুর্গের মতো দাঁড়িয়ে থাকবে শিশুদের রক্ষায়—১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ১৮ দিন ধরে চলবে এই ক্যাম্পেইন, যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছরের নিচে সকল শিক্ষার্থী এবং বাইরে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশুকে টিকার আলিঙ্গনে বেঁধে দেবে। ৮ অক্টোবর বিকেলে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য তুলে ধরেন ডা. মুহাম্মদ শাহীন, যেন তার কথায় মিশে আছে সেই দৃঢ়তা যা শেরপুরের মানুষের হৃদয়ে জাগিয়েছে বিশ্বাসের এক নতুন সূর্যোদয়।
টাইফয়েড, এই প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগের ভয়াবহতা যেন শিশুদের হাসির মুখগুলোকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়, কিন্তু সরকারের এই বিনামূল্যে টিকাদান উদ্যোগ যেন এক মায়ের আলিঙ্গন—বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর, যা শিশুদের সুরক্ষায় এক অটুট কবচ হয়ে উঠবে। ডা. শাহীনের আবেদন যেন এক হৃদয়স্পর্শী ডাক: প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও মিডিয়ার সহযোগিতায় এই ক্যাম্পেইনকে সফল করুন, যেন প্রতিটি শিশুর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হোক স্বাস্থ্যের সেই রঙিন পতাকা। এসময় উপস্থিত ছিলেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল হাশিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বুলবুল আহমেদসহ গণমাধ্যমকর্মীরা, যাদের উপস্থিতি যেন এই উদ্যোগকে এক জনসমর্থনের মিলনমেলায় রূপ দিয়েছে।
এই ক্যাম্পেইন শুধু টিকার ডোজ নয়, বরং শেরপুরের শিশুদের ভবিষ্যতের এক উজ্জ্বল অধ্যায়—যা টাইফয়েডের ভয়াবহতাকে ছিন্নভিন্ন করে তাদের হৃদয়ে জাগাবে সুস্থ জীবনের সেই অপার আনন্দ, যেন প্রতিটি টিকা একটি স্বপ্নের বীজ, যা ফুটে উঠবে এক সুন্দর বাংলাদেশের সবুজ বনানীতে, গর্বিত এবং অমর।

