গাজীপুরের কালীগঞ্জে যেন এক নতুন সূর্যোদয়ের আলো ছড়িয়ে পড়েছে—‘আমি কন্যা শিশু, স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি’ প্রতিপাদ্যকে হৃদয়ে ধারণ করে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপন হয়েছে অপরিসীম উৎসাহে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের শিশু মেলা আইডিয়াল স্কুল চত্বরে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে র্যালি ও আলোচনা সভায় মুখরিত হয়েছে কন্যা শিশু, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের উচ্ছ্বাস, যেন এই সম্মিলন এক অমর প্রতিজ্ঞার জন্ম দিয়েছে—কন্যাদের হৃদয়ের স্বপ্নকে আকাশ ছোঁয়ার সাহসে রূপ দিতে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.টি.এম কামরুল ইসলাম, যার কণ্ঠে ফুটে ওঠে কন্যা শিশুদের প্রতি অটুট দায়বদ্ধতা। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ—যেন এক হৃদয়ের মিলনমেলায় কালীগঞ্জের ভবিষ্যৎ নির্মাণের স্বপ্ন উড়ছে উড্ডীন পাখির মতো। বক্তারা বলেন, কন্যা শিশু সমাজের বোঝা নয়, বরং তারা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড। সঠিক লালন-পালন ও শিক্ষার আলোয় তারা দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সামাজিক ও পারিবারিক বৈষম্য দূরীকরণে প্রতিটি নাগরিকের হাত শক্ত করে ধরতে হবে, বিশেষ করে পরিবারের ভূমিকা যেন কন্যার সুরক্ষা ও সমতার সোনালি দিগন্ত খুলে দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের বক্তব্যে জ্বলে ওঠে আশার আলো: “কালীগঞ্জকে বৈষম্যহীন করতে আমরা কাজ করছি। নিপীড়ন, বাল্যবিয়ে, ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে কন্যা শিশুদের সুরক্ষায় আমরা শতভাগ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।” জাতীয় মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা জেসমিন বেগমের সঞ্চালনায় এই সভা যেন এক প্রতিজ্ঞার মঞ্চ, যেখানে কন্যা শিশুর স্বপ্নের ডানায় উড়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ধ্বনিত হয়েছে। এই দিবস যেন কেবল একটি উদযাপন নয়, বরং কালীগঞ্জের প্রতিটি কন্যার হৃদয়ে জাগিয়েছে সেই অদম্য সাহস, যা সমাজের অন্ধকার ভেদ করে তাদের নিয়ে যাবে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে, গর্বিত ও অটুট।

