গাজীপুরের কালিয়াকৈর উত্তর মৌচাকের নির্জন রাত্রিতে, যেন অন্ধকারের ছায়ায় লুকিয়ে থাকা এক অদৃশ্য যুদ্ধের মতো, র্যাব-১-এর সাহসী দল মধ্যরাতের অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মঙ্গলবারের সেই কালো রাতে, গোপন সংবাদের আলোয় উন্মোচিত হয় এক নারীর মাদকের বিষাক্ত জাল—২ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের স্তূপ, যা যেন মৃত্যুর ডাকে লোভীদের ডাকছে। নাসিমা বেগম, ৫০ বছরের এই নারী, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাট থেকে এসে কালিয়াকৈরের ইয়াসিন আলীর ভাড়া বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে এই অন্ধকার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তার স্বামী ফারুক হোসেনের ছায়ায় লুকিয়ে। তাঁর চোখে ফুটে উঠেছে ভয়ের ছায়া, কিন্তু র্যাবের হাতে ধরা পড়ার পর সেই ছায়া যেন আলোয় পরিণত হয়েছে—ন্যায়ের বিজয়ের প্রতীক।
অভিযানের পর ইয়াবার বিপুল স্তূপ উদ্ধার হয়েছে, যা যেন একটি বিষাক্ত নদীর মতো যুবকদের জীবনকে গ্রাস করতে ছুটছিল। গ্রেফতার নাসিমাকে কালিয়াকৈর থানায় হস্তান্তর করা হয়, এবং বুধবার সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীনে মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। থানার ওসি আব্দুল মান্নানের কণ্ঠে শোনা যায় দৃঢ়তার সুর—এই গ্রেফতার শুধু একটি নারীর পতন নয়, বরং সমাজের অন্ধকার কোণ থেকে বিষ উপড়ে ফেলার এক অদম্য প্রত্যয়। এই অভিযানে র্যাবের সৈনিকরা যেন আলোর যোদ্ধা, যারা মাদকের কালো জাল ছিঁড়ে ফেলে আশার আলো ছড়াচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে গেল—এই জালের আরও কতটা বিস্তার? সমাজের এই লড়াই চলবে, সাহসের আলোয়।

