জয়পুরহাটের জিরো পয়েন্ট কেন্দ্রীয় মসজিদ মার্কেটের সামনে যেন এক নীরব বিপ্লবের আওয়াজ উঠেছে—বধির ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের হৃদয়ের কান্না, যা আজ অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে রূপ নিয়েছে এক অদম্য আকুতির ঢেউয়ে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে জয়পুরহাট বধির সংঘ ও জাতীয় বধির ঐক্য পরিষদের যৌথ আয়োজনে এই কর্মসূচি যেন সমাজের উপেক্ষিত কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করে তুলেছে, আত্মকর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তা, আইনগত সেবা ও সুদমুক্ত ঋণের দাবিতে ৭ দফা আহ্বান জানিয়ে—যেন এই দাবিগুলো এক মশালের মতো জ্বলে উঠে, যা বধিরদের অন্ধকার জীবনকে আলোকিত করে তুলবে সম্মানের সেই উজ্জ্বল পথে।
সভাপতিত্ব করেন সংঘের সভাপতি হান্নান চৌধুরী, যার পাশে সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আশিক, সদস্য রানাসহ নেতৃবৃন্দ—যেন তাদের ঐক্য এক অটুট দুর্গ, যা দারিদ্র্যের কঙ্কালে লড়াই করে মানবেতর জীবন কাটানো বধিরদের কথা তুলে ধরেছে। প্রথম দফায় সংগঠনের নামে সরকারি ভূমি বরাদ্দ, দ্বিতীয় দফায় ভবঘুরে বধিরদের পুনর্বাসন ও আবাসন, তৃতীয় দফায় সামাজিক নিরাপত্তা ও আইনগত সেবা, চতুর্থ দফায় ত্রাণ ও খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ভিজিএফ কার্ড ও জিআর চাল, পঞ্চম দফায় গণপরিবহনে হাফ ভাড়া, ষষ্ঠ দফায় কুটির শিল্পে সুদমুক্ত ঋণ, এবং সপ্তম দফায় জাতীয় বধির ঐক্য পরিষদের মহাসমাবেশে সহযোগিতা—এই দাবিগুলো যেন এক অদম্য যুদ্ধের ঘোষণা, যা রাষ্ট্রের দরজায় কড়া নাড়া দিয়ে নিশ্চিত করবে তাদের অধিকারের সেই অমর জয়।
কর্মসূচির পর স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেওয়া যেন এই আন্দোলনের প্রথম বিজয়ের ধাপ—হান্নান চৌধুরীর কণ্ঠে উঠে আসে সেই আবেগময় আহ্বান, যা বধিরদের চোখে জাগিয়েছে আশার অশ্রু। এই অবস্থান যেন শুধু একদিনের নয়, এক চলমান লড়াইয়ের সূচনা—যা জয়পুরহাটের উপেক্ষিত অংশের কণ্ঠকে শক্তিশালী করে তুলবে, রাষ্ট্রের দরজায় কড়া নাড়া দিয়ে নিশ্চিত করবে তাদের সম্মানের সেই অটুট অধিকার, যেন এই দাবির ঢেউ আমাদের সকলের হৃদয়ে ছড়িয়ে দেয় সেই গভীর অনুভূতি যে, উপেক্ষিতদের পাশে দাঁড়ানোই মানবতার সবচেয়ে উজ্জ্বল পথ, গর্বিত এবং অটল।

