ফরিদপুরের সদরপুরে যেন এক অগ্নিঝরা ক্ষোভের ঢেউ উঠেছে—নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের কোরআন অবমাননায় মুসলিম জনতার হৃদয় যেন ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে, আর সেই যন্ত্রণার আগুন বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বাদ আছর স্টেডিয়াম মাঠে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে ফুটে উঠেছে, যেন হাজারো কণ্ঠ একসঙ্গে চিৎকার করে উঠেছে ন্যায়ের দাবিতে। উপজেলার সর্বস্তরের মুসলিম জনতার উদ্যোগে এই সমাবেশ যেন এক অদম্য জোয়ার, যা অপূর্ব পালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের আহ্বানে উঠে এসেছে, হাজারো হৃদয়কে এক করে তুলেছে ইসলামের মর্যাদা রক্ষার সেই অটুট প্রতিজ্ঞায়।
সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মুফতী বোর্ডের সভাপতি ও সদরপুর সরকারী কলেজ মসজিদের পেশ ইমাম মুফতী মুহাম্মাদ জাকির হুসাইন ফরিদী, যার কণ্ঠে ফুটে উঠেছে কোরআনের অপমানের সেই তীব্র বেদনা, যেন প্রতিটি শব্দে মিশে গেছে জনতার ক্ষোভের আগুন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি নেতা মো. মিজানুর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর আমীর মো. দেলোয়ার হোসেন, খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি হাফেজ আব্দুল আউয়াল, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মোখতার হুসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মুফতী শারাফাত হুসাইন—তাদের কথায় যেন উঠে এসেছে ঐক্যের সেই অমর সুর, যা অবিলম্বে অপূর্ব পালের শাস্তি ও ব্লাসফেমি আইনের দাবিতে জনতার হৃদয়কে এক করে তুলেছে।
সমাবেশ শেষে স্টেডিয়াম মাঠ থেকে শুরু হওয়া বিশাল বিক্ষোভ মিছিল যেন এক জ্বলন্ত মশালের মতো উপজেলার প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষীণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে থামে, যেখানে মুফতী জাকির হুসাইন ফরিদীর সমাপনী বক্তব্য ও দোয়ায় মিশে গেছে জনতার কান্না ও ক্ষোভের মিশ্রণ। বিপুল সংখ্যক মুসল্লি, গণ্যমান্য ব্যক্তি, ইমাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মানবাধিকার কর্মী—সকলে একসঙ্গে অংশ নিয়ে এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে এক অটুট ঐক্যের প্রতীক করে তুলেছে, যেন সদরপুরের আকাশে উঠে গেছে কোরআনের মর্যাদা রক্ষার সেই অমর দোয়া। এই সমাবেশ যেন শুধু একটি দিবসের নয়, বরং ইসলামের সত্য রক্ষার এক চলমান লড়াই—যা সদরপুরের মানুষের হৃদয়ে জাগিয়েছে সেই গভীর অনুভূতি যেন অবমাননার এই অন্ধকার ছিন্নভিন্ন হয়ে উঠে আসুক ন্যায়ের সেই উজ্জ্বল সকালে, গর্বিত এবং অটুট।

