কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় যেন এক অদম্য সাহসের ঢেউ উঠেছে—‘ভয়েস অব পাকুন্দিয়া’ ফেসবুক গ্রুপের উদ্যোগে চারশোরও বেশি তরুণ-যুবকের হাতে ফ্রি প্যালেস্টাইন পতাকা, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলা মডেল মসজিদ থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রা যেন এক জীবন্ত প্রতিবাদ, যা কিশোরগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়কের তিন কিলোমিটার প্রদক্ষীণ করে কোদালিয়া চৌরাস্তা বাজারে এসে থামে, হৃদয়ে জাগিয়ে তুলেছে ন্যায়ের সেই অমর আলো যা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনের কান্নাকে ছুঁয়ে দিয়েছে।
ক্রিয়েটর ও অ্যাডমিন এস এম রায়হানের নেতৃত্বে বিভিন্ন শ্রেণির যুবকরা এই যাত্রায় মিলিত হয়েছে যেন এক অটুট ঐক্যের প্রতীক, তাদের পদধ্বনিতে মিশে গেছে পাকুন্দিয়ার মাটির সেই অদম্য সাহস, যা ফিলিস্তিনের আকাশে উড়ে গিয়ে বলছে, “আমরা এক, নিপীড়নের বিপক্ষে আমরা এক।” রায়হানের কণ্ঠে উঠে এসেছে সেই আবেগময় আহ্বান, “ফিলিস্তিন শুধু দেশের নাম নয়, ন্যায়ের লড়াইয়ের প্রতীক। নিরস্ত্র মানুষের ওপর আগ্রাসন শান্তি আনতে পারে না। আমাদের কণ্ঠ ছোট হলেও প্রতিবাদ থামবে না—মানবতার পক্ষে দাঁড়ানোই আমাদের প্রতিজ্ঞা।” এই কথায় যেন পাকুন্দিয়ার যুবকদের চোখে ঝলকাচ্ছে ফিলিস্তিনের শিশুদের হাসির সেই মধুর স্বপ্ন।
এই পদযাত্রা যেন শুধু একটি মিছিল নয়, বরং পাকুন্দিয়ার তরুণ হৃদয়ে জাগিয়েছে বিশ্বব্যাপী ন্যায়ের সেই অটুট বন্ধন, যা ফিলিস্তিনের আকাশে উড়ে গিয়ে বলছে, “আমরা তোমাদের সঙ্গে, তোমাদের লড়াই আমাদের লড়াই।” এই উদ্যোগ যেন আমাদের সকলের হৃদয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে সেই গভীর অনুভূতি যেন মানবতার এই ঐক্যের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ুক প্রতিটি গ্রামে, এবং কোনো নির্যাতিতের কান্না আর একা না থাকে—পাকুন্দিয়ার এই যাত্রা যেন এক মশালের মতো জ্বলে উঠুক, যা ন্যায়ের পথে আলোকিত করে দেবে ফিলিস্তিনের সেই অন্ধকার আকাশকে, গর্বিত এবং অমর।

